অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: শুরুর পরেই ছন্দপতন, ফের বন্ধ হয়ে গেল শ্যুটিং। ২০টি সিরিয়ালের জবাব না মেলায় শ্যুটিং বন্ধ। সঠিক জবাব না মেলায় শ্যুটিংয়ে আসেননি কলাকুশলীরা। শ্যুটিং শুরুর পরেই ফের বন্ধ করল ফেডারেশন। 


এর আগে আজ সকালে ছন্দে ফেরে টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়া। কোভিড বিধি-নিষেধ মেনে আজ থেকে ফের শুরু হয় শ্যুটিং। সর্বোচ্চ ৫০ জনের ইউনিট নিয়ে শ্যুটিংয়ের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী শ্যুটিং শুরু হয়। কিন্তু তারপরেই বন্ধ হয়ে গেল শ্যুটিং।


শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে গেল বাংলা ধারাবাহিকের শ্যুটিং। প্রযোজক, আর্টিস্টস ফোরাম, ভেন্ডর ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ফেডারেশনের চাপেই শ্যুটিং বন্ধ করা হয়েছে। যদিও সমস্যা কাটিয়ে কাল ফের শ্যুটিং শুরু করা যাবে বলে আশায় প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। তবে এনিয়ে মন্তব্যে নারাজ ফেডারেশন। 


করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে একমাস বন্ধ ছিল বাংলা ধারাবাহিকগুলির শ্যুটিং। তবে রাজ্য সরকারের নতুন গাইডলাইন মেনে বুধবার সকালে চেনা ব্যস্ততা ফেরে টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ায়। কিন্তু, শ্যুটিং ফ্লোরের ব্যস্ততা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বিকেলে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় ক্যামেরার ঝলকানি, নিভে যায় ফ্ল্যাশ বাল্বের আলো।


কী এমন ঘটল যে, আচমকা বন্ধ হয়ে গেল শ্যুটিং? আর্টিস্টস ফোরাম, প্রযোজক, ভেন্ডর ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ একযোগে দাবি করেছে, ফেডারেশন কর্তৃপক্ষের চাপেই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।


ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনই তিনি কিছু বলবেন না।


যদিও, জটিলতা কেটে গিয়ে বৃহস্পতিবার ফের শ্যুটিং শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী প্রযোজক ও কলাকুশলীরা। 


এর আগে গত মাসে রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি হওয়ার পর নতুন এপিসোডের জোগান জারি রাখতে বাড়ি থেকেই শ্যুটিং করে চ্যানেলের কাছে পাঠানো শুরু করেন কলা-কুশলীরা। বেশ কয়েকটি সিরিয়াল কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা চালু করে। যদিও এতে বিতর্ক তৈরি হয়। বাড়ি থেকে শ্যুটিং-এ প্রবল আপত্তি জানায় ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। তাদের দাবি, এতে সিরিয়ালের মান পড়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছেন মেকআপ আর্টিস্ট ও টেকনিশিয়ানরা। তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করে ফেডারেশন। তারপর আজ শ্যুটিং শুরু হলেও, সেটা বন্ধ হয়ে গেল।