কলকাতা: নিজের সম্পত্তি বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দান করেছেন বলে জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 


তাঁর দাবি, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি উইল করে, পাওয়ার অ্যাটর্নি দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নানাভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে।


দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত, দাবি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, সম্পর্ককে মর্যাদা দিতে চেয়েছি। সেই প্রেক্ষিতেই বৈশাখীকে সম্পত্তি দান করেছি। এখন থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পত্তির অধিকারী।


এদিনই ফেসবুক প্রোফাইলে বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জুড়ে নেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর নতুন ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা হল, বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। 


পোশাকের রং মিলান্তি থেকে শুরু করে সর্বত্র একসঙ্গে যাওয়া-আসা। বঙ্গ রাজনীতিতে হাই প্রোফাইল জুটির বন্ধুত্ব এই ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় অন্য মাত্রা পায়। বৈশাখী লিখেছেন, আমি থেকে আমরার যাত্রা শুধুমাত্র ভার্চুয়াল বিশ্বে।


এদিকে, শোভন যখন তাঁর সম্পত্তি বৈশাখীকে দান করার কথা খোলসা করছেন, সেই সময় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে উচ্ছেদ নোটিস পাঠালেন শ্যালক শুভাশিস দাস। 


সূত্রের খবর, নোটিসে বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে গোলপার্কের ফ্ল্যাট খালি করে দিতে হবে। আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো ওই নোটিসে শোভন-শ্যালক দাবি করেছেন, টেনেন্সি অ্যাক্টে অনুযায়ী কোনও চুক্তি না থাকায় ওই ফ্ল্যাট বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 


৭ দিনের মধ্যে ফ্ল্যাট খালি না করলে মামলা রুজুর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে ওই নোটিসে। প্রামাণ্য নথি রয়েছ। যথা সময়ে আদালতে জমা দেব, জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।


এই নোটিসের প্রেক্ষিতে শোভন বলেন, গোলপার্কের ফ্ল্যাটে বেআইনিভাবে বসবাস করছি না। ফলে, আইনি নোটিসের কোনও বৈধতা নেই। কারণ, যে চুক্তির কাগজপত্র রয়েছে আমার কাছে, তা আমি আইনি মঞ্চে পেশ করতে কোনও দ্বিধা নেই। কারোর সম্পত্তি দখল করার কোনও মানসিকতা নেই আমার। 


প্রাক্তন মেয়র পাল্টা বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় যেখানে বসবাস করছেন, তা আমার। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলা সত্ত্বেও কোনও উচ্ছেদের মামলা করিনি। 


তিনি যোগ করেন, আমি একটা সমস্য়ার মধ্যে রয়েছি। এমন সময় যারা আইনি নোটিস পাঠায়, তাদের দাঁত-নখ বেরিয়ে পড়ে। এসব করে যারা বলে যে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম, তাদের আসল উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ে। 


শোভনের দাবি, এই সব করে তাঁর পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।