কলকাতা: 'গান তো পৌঁছয় অনেকের কাছেই, গান তৈরি হবার গল্পগুলো আড়ালেই থেকে যায়'.. এই লাইনটা দিয়ে নিজের লেখা শেষ করলেও, তাই যেন গল্পের শুরুটা। গোটা দেশ অপেক্ষা করছে, 'পুষ্পা ২' ছবিটার মুক্তির। বারে বারে এই ছবির মুক্তির দিন পিছনোয় আহত অনেকেই। শেষমেষ ঠিক হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাবে অল্লু অর্জুন (Allu Arjun) ও রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandhana) অভিনীত এই ছবি। আর ইতিমধ্যেই অনেকেই জেনে গিয়েছেন, এই ছবির সঙ্গে শ্রীজাত-যোগ। 'পুষ্পা ২'  ছবিটির বাংলা-ভার্সনের গানগুলি লিখেছেন শ্রীজাত। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখক-কবি খোদ সামনে আনলেন এমন এক গল্প, যা সহজে পৌঁছয় না সাধারণ মানুষের কাছে। শ্রীজাত লিখলেন, শ্রেয়া ঘোষালের (Sreya Ghoshal) আবদার রাখার গল্প। 


'আগুনের মতো ঝলমল, সে যে আমার স্বামী' গানটি লিখেছেন শ্রীজাত। আর পর্দার বাংলার ভার্সনে এই গানটি শোনা যাবে শ্রেয়ার কন্ঠে। এই গানটি লিখে পাঠিয়ে, পারিবারিক নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে শ্রীজাত চলে গিয়েছিলেন ন্যাশভিল। আর সেই সময়ে, শ্রীজাতর কাছে আসে, শ্রেয়ার আবদার। গান মুক্তির আগের দিন, সেটি পড়ে শ্রেয়ার মনে হয়, আরও আকর্ষণীয় হতে পারত এই গানের হুকলাইন। শ্রীজাত লিখছেন, 'যদিও বাকি কাজ ঠিকই হলো, লাইন ধরে ধরে আমার সঙ্গে গানের কথা মিলিয়ে নিল শ্রেয়া, যেখানে যেখানে খটকা, শব্দের মানে আর অভিব্যক্তি বুঝে নিল ফোনের ওপার থেকেই, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে। অলৌকিক প্রতিভা আর মিশুকে স্বভাব যদি বাদও রাখি, কেবল খ্যাতির শীর্ষে থেকেও প্রতিটা নতুন কাজের প্রতি এই আগ্রহ আর অধ্যবসায়ের জন্যই ওকে ভালবাসা যায়। বাসিও। ঠেকল এসে হুক লাইনে। আরও জমিয়ে লেখার চেষ্টা করাই যায়, যেমনটা শ্রেয়া চাইছে, কিন্তু সময় কোথায়? চেন্নাই-এর পরদিন সকালেই গানটার ডাবিং, অর্থাৎ আমাকে নতুন লাইন লিখে পাঠাতে হবে আমার সন্ধেবেলার মধ্যে।'


তবে উপায় হয় ইচ্ছে থাকলেই। এয়ারপোর্টে গিয়ে সৃজিত জানতে পারেন, ফ্লাইট ঘণ্টা তিনেক লেট। খুব বিরক্ত হয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষাই করছিলেন, হঠাৎ আত্মীয়ার মেসেজে মনে পড়ল শ্রেয়ার কথা। ফের লিখে ফেললেন নতুন লাইন। সেটিই পাঠিয়ে দেন শ্রেয়াকে। পছন্দ হয়ে যায় গায়িকার। সেই গানই রেকর্ডিং হয়ে যায় পরেরদিন চেন্নাইতে।


আর গানের আড়ালে থাকা গল্প সবার কাছে পৌঁছে দিতেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার কথা লিখে জানিয়েছেন শ্রীজাত।