নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস যে সব দেশগুলিতে সবচেয়ে বেশী ছড়িয়ে পড়েছে তার মধ্যে অন্যতম ইতালি। সেখানেই আটকে পড়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী-গায়িকা শ্বেতা পন্ডিত। নিজের বাড়িতে কোয়ারন্টাইনে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে পাঠালেন সাবধানবাণী। ভিডিও পোস্ট করে বললেন, ‘ভারতীয়রা করোনাভাইরাস সংক্রমণকে অবহেলা করবেন না। বাড়ির বাইরে বেরনো থেকে বিরত থাকুন। সরকারের লকডাউনের নির্দেশিকা মেনে চলুন’- সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা শ্বেতা পন্ডিতের।

আজ ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করেন শ্বেতা। সেখানে তাঁকে বলকে শোনা যায়, ‘আপনারা সবাই জানেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বের কাছে ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর করোনা যে দেশে সবচেয়ে বেশী থাবা বসিয়েছে আমি বর্তমানে সেখানেই রয়েছি, ইতালিতে। আপনারা বিশ্বাস করবেন না আমি নিজে একমাস বাড়ি থেকে বেরতে পারিনি।’



তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগটা এমনই এর বলবার মতো কোনও উপসর্গ নেই। একজন সাধারণ জ্বর বা সর্দি কাশি নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন আর তারপর তিনি জানতে পারছেন তার আইসিইউ তে থাকার প্রয়োজন, অক্সিজেনের প্রয়োজন আর বেশীরভাগ সময়ই মানুষ মারা যাচ্ছেন। এখনও এই রোগের সঠিক ওষুধ আমাদের কাছে নেই। হাজার-দু হাজার নয়, ৮০০০ এর বেশী মানুষ করোনা আক্রান্ত ইতালিতে। এটা কোনও ছুটি বা পার্টি, পিকনিক নয়। সামাজিক দূরত্বই একমাত্র পারে এই রোগ ছড়িয়ে পড়া রদ করতে।’

ইতালিতে থাকার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার রোজ সকালে ঘুম ভাঙে অ্যাম্বুলেন্সের শব্দে। আমি আমার সমস্ত পরিবার ছেড়ে একা এখানে রয়েছি। আমার হোলির দিন বাড়ি ফেরার কথা ছিল কিন্তু আমি ফিরিনি। কারণ আমি চাই না এই ভাইরাস কোনওভাবে আমার মধ্যে এবং আমার থেকে আমার বাড়ির লোকেদের মধ্যে প্রবেশ করুক। ভারত থেকে অনেকে আমাকে ফোন করে প্রশ্ন করছেন, এই ভাইরাস ইতালিতে কী করে এমন ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ল। সত্যি বলতে কী এর উত্তর আমার ও জানা নেই। ইতালি কিছু বুঝে ওঠবার আগেই করোনা গ্রাস করল ইতালিকে। ভারতের ভাগ্য ভালো এই ভাইরাস ভারতে অনেক দেরী করে পৌঁছেছে। কিছুটা তৈরী হয়ে নেওয়ার সময় পেয়েছে ভারত।’

‘ভারত থেকে অনেকেই আমায় ফোন করে খবর নিয়েছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। সবার আশীর্বাদেই আমি এখনও সুস্থ আছি।’- বলেন শ্বেতা।



ইতালিতে গৃহবন্দি হয়ে শ্বেতার কারত আবেদন, ‘ভারতীয়রা সবাই বাড়িতে থাকুন, গান শুনুন, বই পড়ুন, ফোনে বা ভিডিও কলে সবার সঙ্গে কথা বলুন। সাবধানে থাকুন।’