কলকাতা: তিনি সবসময়েই ফ্যাশন আইকন.. তাঁর ওয়ার্ডরোব নাকি ঈর্ষণীয়! তাঁর সংগ্রহে থাকা বিভিন্ন পোশাক.. দেশি থেকে শুরু করে বিদেশি.. সবই নাকি নজর কাড়ে তাবড় তাবড় ফ্যাশানিস্তারও। তবে বলিউডে এখন নতুন চল পুরনো পোশাককে ফিরিয়ে আনার। জাতীয় মঞ্চে নিজের বিয়ের শাড়ি পরে গিয়ে আগেই নজর কেড়েছিলেন আলিয়া ভট্ট (Alia Bhatt)। আর এবার পালা, তাঁর। তবে নিজের নয়... মায়ের সংগ্রহে রাখা ৩৫ বছরের পুরনো শাড়ি পরে তাক লাগিয়ে দিলেন সোনম কপূর (Sonam Kapoor)। তবে সেই শাড়ি কেবল ৩৫ বছরের পুরনোই নয়... এর রয়েছে প্রচুর বিশেষত্বও। জড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন রীতিনীতিও। 


সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন সোনম। সেখানে তিনি পরে রয়েছেন, মেরুন শেডের একটি গুজরাতি কাজের শাড়ি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি শেয়ার করে সোনম লিখেছেন, 'আমার মায়ের ৩৫ বছরের পুরনো ঘরচোলা পরলাম। তোমায় অনেক ধন্যবাদ মা, এই শাড়ি আর ব্লাউজ আমায় দিতে পুরনো কিছু সংস্কার, রীতিনীতির সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।' সেই সঙ্গে সোনম অনুরাগীদের দিকেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, এই ঘরচোলার বিশেষত্ব নিয়ে.. ঠিক কী এই ঘরচোলা শাড়ি?


'ঘরচোলা' হল একটি বিশেষ ধরনের শাড়ি যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিয়ের রীতি। গুজরাতি বিবাহের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এই 'ঘরচোলা'। 'ঘর' কথার অর্থ বাড়ি ও চোলা অর্থাৎ পোশাক। গুজরাতি বিবাহে, নববধূ গৃহপ্রবেশের সময় এই শাড়ি পরেন। নববধূ যখন স্বামীর বাড়িতে আসেন, তখন তাঁর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের সমস্ত দায় স্বামী ও নতুন এক পরিবারের। নববধূকে স্বাগত জানানোর এই রীতিকে উদযাপন করার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে এই 'ঘরচোলা' শাড়ি। ষোড়শ শতাব্দী থেকেই গুজরাতি বিয়েতে ব্যবহার হয় এই 'ঘরচোলা'। 


যেহেতু এই শাড়ি বিশেষভাবে নববধূর জন্যই বানানো হয়, তাই এসে সাধারণত ব্যবহার হয় লাল, মেরুন, সবুজ ও হলুদ রঙ। গোটা শাড়ি জুড়েই থাকে ভরাট বাঁধনি কাজ, একই রঙের ব্লাউজও তৈরি করা হয়। পাড়ে থাকে সোনালি জরির কাজ। সাধারণত নীল বা সাদ রঙ সাবেকি 'ঘরচোলা' শাড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয় না। বর্তমানে কেবল গুজরাত নয়, বিভিন্ন জায়গায়, এমনকি অনলাইনেও যে কেউ কিনতে পারে এই বিশেষ ধরণের শাড়ি। 


 






আরও পড়ুন: Sushmita Sen: 'আমি বিয়েতে বিশ্বাসী', সাতপাকে বাঁধা পড়তে শেষমেশ তৈরি সুস্মিতা?