মুম্বই: বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নেপোটিজম-এর পুরোধা’ আখ্যা পেতে শুরু করেছেন চলচ্চিত্র নির্দেশক মহেশ ভট্ট। এবার তাঁর স্ত্রী সোনি রাজদান এই ট্রোলের জবাব দিলেন এই বলে যে, নিন্দুকরা অজ্ঞ বলে জানেন না মহেশই ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগতদের সবচেয়ে বেশি ব্রেক দিয়েছেন। সোনি সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে কমেন্টস সীমিত করে দিয়েছেন। নেটিজেনদের ক্রমাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে এই প্রথ্ম সোনি নীরবতা ভেঙে মহেশের পক্ষ নিলেন সুশান্ত সিংব রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত বিতর্কে। নেটিজেনরা শুধু মহেশের বিরুদ্ধেই নয়, সরব হয়েছেন কর্ণ জোহর, আলিয়া ভট্ট, সোনম কপূরের মতো বিগ শটদের বিরুদ্ধেও। এঁরাই নাকি সুশান্তের ছবিতে সুযোগ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে উঠেছিলেন।


সম্প্রতি যখন মহেশ তাঁর নির্দেশনার কামব্যাক হিসেবে সড়ক-২-এর পোস্টার রিলিজ করেন, তখনই তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোনি সম্প্রতি অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ির সঙ্গে এক কথোপকথনে বলেন যে, ডিপ্রেসন তৈরি হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারণ থাকে না। সফল ও স্বচ্ছল মানুষরাও যে কোনও সময়ে তার শিকার হতে পারেন। এরই প্রেক্ষিতে একজন নেটিজেন মন্তব্য করেন যে নেপোটিজমই এর নেপথ্য কারণ এবং মহেশ ও আলিয়ার গডফাদার কর্ণ জোহর একই দোষে দোষী। সোনি এই মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, অজ্ঞ নেটিজেনরা জানেন না মহেশ বরাবর নতুনদেরই সুযোগ দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে মন্তব্য সীমিত করে দেওয়ার পর তিনি লিখেছেন যে অনুরাগীদের কাছ থেকে তিনি তাঁর কাজের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া পেতে ভালোবাসেন। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে মানুষ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে, তাতে মনে হচ্ছে হয় ভট্ট পরিবারের সাফল্যে তাঁরা ঈর্ষান্বিত, নয়তো তাঁদের এই কাজে প্ররোচিত করা হচ্ছে।