মুম্বই: গতকালের পর আজ বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালাচ্ছে আয়কর বিভাগ। গতকাল, অভিনেতা-সমাজসেবকের দফতরে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় আয়কর। 


আজ সকালে মুম্বইতে সোনুর বাড়িতে হানা দেয় আধিকারিকরা। মূলত, লখনউয়ের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার সঙ্গে সোনু সুদের সম্পত্তি চুক্তি খতিয়ে দেখছে আয়কর।  অভিযোগ, এই চুক্তিতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে আয়কর।


গতকাল, মুম্বইয়ে সোনু সুদের দফতরে আয়কর অভিযান শেষ হয় গভীর রাতে। আয়কর কর্তারা অভিনেতার সঙ্গে যুক্ত ছয়টি জায়গায় একযোগে কয়েক ঘণ্টা ধরে অনুসন্ধান চালান।


সূত্রের খবর, সোনু সুদের কোম্পানি এবং লখনউ-ভিত্তিক একটি রিয়েল এস্টেট ফার্মের মধ্যে সাম্প্রতিক একটি চুক্তি তদন্তের আওতায় রয়েছে এবং


সম্প্রতি, দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্কুল পড়ুয়াদের জন্য আয়োজিত 'দেশ কে মেন্টর' অনুষ্ঠানে অভিনেতাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নেন।  


গত মাসে সোনু সুদ লাইমলাইটে ছিলেন কারণ গুজব রটেছিল তিনি রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছেন। গুজব রটেছিল বলি তারকা সোনু সুদ ২০২২ সালের বিএমসি ভোটে লড়ছেন। খবর রটতেই সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে শুরু করেন গরিবের 'মসিহা' সোনু সুদ। 


'দাবাং' অভিনেতা যদিও তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া সংক্রান্ত সমস্ত গুজব খারিজ করে দেন। অভিনেতা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নিজেই সেই জল্পনায় জল ঢালেন।


রাজনীতিতে যোগ দেওয়া সংক্রান্ত একটি ট্যুইটের উত্তর দিয়ে জানান, তিনি ভোটে লড়ছেন না। তিনি লেখেন, 'নট ট্রু, আই অ্যাম হ্যাপি অ্যাজ এ কমন ম্যান।' অর্থাৎ, যা রটছে তা সত্য নয়। তিনি সাধারণ নাগরিক হিসেবেই ভাল আছেন বলে জানান সোনু। 


গোটা করোনা অতিমারীর আবহে সোনু সুদ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে একজন 'মসিহা' হিসেবে উঠে এসেছেন। সাধারণ মানুষের বিপদে তাঁকে বারবার এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দিতে দেখা গিয়েছে।


তাঁরক এই প্রয়াসের জন্য ৪৮ বছর বয়সী সোনু সুদকে বাস্তব জীবনের নায়ক হিসাবে প্রশংসা করা হয় এবং করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় মানুষকে সাহায্য করার জন্য ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।