মুম্বই: তিনি ফিটনেস ফ্রিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই আপলোড করেন শরীরচর্চার ভিডিও। সাধারণ জীবনযাপনের জিনিস ব্যবহার করেও রীতিমতো ফিটনেস গোল দেন তিনি। তিনি বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ। যাঁর অন্য পরিচয় এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে 'করোনাকালের মসিহা'।



সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের শরীরচর্চার একাধিক ভিডিও আপলোড করেছিলেন সোনু সুদ। সেখানে কোথাও দেখা যাচ্ছে তিনি জিমে শরীরচর্চা করছেন, আবার কখনও কার্যত নিজেকে শূন্যে ঝুলিয়ে রাখা অভ্যাস করছেন। এমনকি বহুতলের লিফট দিয়ে কেবল দুটি হাতলের ওপর ভর করেও নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনুরাগীরাও আপ্লুত তার এই নতুন সমস্ত পোস্ট দেখে। 



সম্প্রতি জনপ্রিয় এই অভিনেতার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আয়কর দফতরের দাবি ছিল, সোনু সুদের এনজিও-র তরফে বিদেশে থেকে প্রায় ২.১ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই টাকা তোলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই কাজটি  ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্টের সরাসরি লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয়েছে।


আয়কর দফতর আরও দাবি করে, যে সমস্ত রোজগারের হিসেব সোনু সুদ লুকাতে চাইতেন, সেটা বেনামী সংস্থাদের থেকে ভুয়ো ঋণ নেওয়ার খাতে দেখানো হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই এই ধরণের ২০টি বেনামী লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন।


এই বিতর্কের পর  ট্যুইট করে সোনু সুদ জানান, ‘সবসময়ে নিজের কথা নিজেকে ঢাক পিটিয়ে বলতে নেই। সঠিক সময় আসলেই সব প্রকাশ পায়। আমি দেশের মানুষের কাজে নিজেকে উত্‌সর্গ করেছি। আমার মন-প্রাণ দিয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা মানুষের জন্য কাজ করার। আমার ফাউন্ডেশনের প্রতিটি অর্থ গরিব মানুষের কাজে লাগার অপেক্ষায়। চেষ্টা করছি,অন্তত একজনের প্রাণও যাতে বাঁচাতে পারি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।’


করোনা অতিমারীর আবহে সোনু সুদ পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে একজন 'মসিহা' হিসেবে উঠে এসেছেন। সাধারণ মানুষের বিপদে তাঁকে বারবার এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। ভারতবাসীও তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। দেশের আনাচে কানাচে তাঁর সম্মানে একাধিক প্রয়াস দেখা গেছে সাধারণ মানুষের। এরপর গত সপ্তাহে সোনুর বিভিন্ন দফতরে আয়কর আধিকারিকরা হানা দেয় । চালানো হয় তল্লাশি। এরপর তাঁকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়। নিন্দুকরা প্রশ্ন তোলেন তাঁর দান-ধ্যান নিয়ে। তিনি কিন্তু তখনও মুখ খোলেননি। অবশেষে মুখ খুললেন 'পরিযায়ী শ্রমিকদের ভগবান।