প্রসঙ্গত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্য়ুর দিনকয়েক আগে মুম্বইয়ের মালাডে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মহত্যা করে সুশান্তের সেক্রেটারি দিশা। সেই থেকেই অনেকে বলতে থাকেন দিশার মৃত্যুর সঙ্গে যোগ রয়েছে আদিত্য। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, প্রাক্তন প্রেমিকা জিয়া খান আত্মহত্যা করার পর থেকে ঘটনায় প্ররোচনা জোগানোর অভিযোগ ওঠে সূরযের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও চলছে। সুশান্তের সঙ্গে ,সূরজের কেমন সম্পর্ক ছিল তা নিয়ে গত মাসে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। সে সময়ে জারিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সূরজ আর সুশান্ত যে বিরাট বন্ধু ছিল তা হয়তো নয়, কিন্তু কেউ কারও ক্ষতিও করতে চায়নি কখনও। ওদের নানা সময়ে দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে। ওরা তো দেখা হলে পরস্পরকে ‘ভাই’ বলে ডাকতো।
আবার গত মাসেই দিশা সালিয়ানের পরিবারের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয় দেশের মানুষের কাছে। বলা হয়, “আমরা যাকে ভালোবাসতাম, তাকে হারিয়েছি। এই ক্ষতি অপূরণীয়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে দিশার মৃত্যুর কারণ, চক্রান্ত আছে কীনা মৃত্যুর পিছনে ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আর মনগড়া থিওরি খাড়া করবেন না অনুগ্রহ করে। ওর পরিবার এবং বাবা-মার পক্ষে এসব শোনা কতখানি কষ্টকর হচ্ছে তা আশা করি বুঝবেন।“ পারিবারিক বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয় , এটা যেন অনুগ্রহ করে কেউ ভুলে না যান যে দিশা কারও বাড়ির মেয়ে, সে কারও দিদি, কারও বোন, কারও বন্ধু। তাই দিশার ঘনিষ্ঠ মানুষজনকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে সকলে যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যু সম্পর্কে নানা চক্রান্তের গল্প বানানো থেকে বিরত থাকেন। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও ছড়িয়ে পড়েছিল যে সূরজ পাঞ্চোলি নাকি দিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তখন সূরজ জানান, দিশাকে তিনি কোনও দিনই চিনতেন না, জীবনে একবারও কথা হয়নি।