কলকাতা: আজ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৬ তম জন্মদিন। প্রয়াত অভিনেতাকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, সৌমিত্রদাকে (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) তাঁর জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি একজন কিংবদন্তী, যিনি নিজের কর্মক্ষেত্রের সর্বত্র স্বকীয়তার ছাপ রেখে গেছেন। আমরা তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতির অভাব অনুভব করি। সম্প্রতি আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সৌমিত্রদার আঁকা ছবি, সিনেমার পোস্টার এবং তাঁর ডিজাইন করা কস্টিউমের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার। তাঁর পরিবারের মানুষদের ভালোবাসা এবং উষ্ণতায় আমি অভিভূত। ট্যুইটে লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বৃহস্পতিবার বাইপাসের ধারে আনন্দপুরে শুরু হয় বিশেষ প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ফাউন্ডেশন। সেখানে অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের সভাপতি শিল্পী যোগেন চৌধুরী প্রস্তাব দেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও কাজ নিয়ে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হোক। বলেন, সব জিনিসগুলোকে এক জায়গায় এনে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা উচিত। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, লিখিত প্রস্তাব পেলেই যৌথ উদ্যোগে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
এর আগে, বছরের প্রথম দিনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণায় অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বঙ্গ নাট্য সংহতি। নাট্য ব্যক্তিত্ব থেকে পরিচালক, ফেলুদার স্মৃতিচারণা করলেন সবাই। নাট্যব্যক্তিত্ব থেকে পরিচালক, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। প্রত্যেকের মুখেই উঠে এল তাঁর কথা। বাবার স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মেয়েও।
সিনেমার পাশাপাশি, নাটকের মঞ্চেও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের খ্যাতি ছিল তুঙ্গে। কিন্তু নাট্যজগতের অনেকেই বলে থাকেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক সেভাবে আলোচনায় জায়গা পায়নি। এদিনের অনুষ্ঠানে সেই খামতি পূরণ করাই ছিল উদ্যোক্তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য।
গত ১৫ নভেম্বর বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে জীবনাবসান হয় সৌমিত্রবাবুর। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন এই প্রবীণ অভিনেতা। পরে করোনামুক্ত হলেও দেখা দেয় অন্যান্য সমস্যা। চলছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। শেষপর্যন্ত, ৪০ দিনের মাথায় আলোর উত্সবের মধ্যেই নিভে গেল তাঁর জীবন-দীপ।