শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বিজেপি ছেড়েছেন মাত্র ১৯ দিন হয়েছে। এবার তৃণমূলের মঞ্চে দেখা গেল অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। আবার দলের শক্তিশালী নেতা দাবি করে বললেন, শ্রাবন্তী এখন ঘাসফুল শিবিরেরই। 
মাইক হাতে মঞ্চে কখনও গাইলেন। আবার কখনও কচিকাঁচাদের জন্য আওড়ালেন কবিতা। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর মসজিদবাটিতে ছিল তৃণমূলের চার বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সেখানেই রীতিমতো খোশমেজাজে দেখা গেল বাংলা ছবির এই তারকা অভিনেত্রীকে। বেললেন, শাসকদলের হাত ধরে হোকও আরও উন্নয়ন।


এরপরই আরও তীব্র হয় জল্পনা। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা জানান, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শ্রাবন্তী! যদিও এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অভিনেত্রী। 

আরও পড়ুন :



 বিজেপি-ত্যাগের পর বাসন্তীতে তৃণমূলের মঞ্চে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়


 


একুশের মহারণের মুখে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। সেই সময় তাঁকে দলে টানতে পেরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ছিল বিজেপি। অভিনেত্রীকে দলে নিয়েই, বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে পদ্ম ব্রিগেড। দোলের দিন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রর সঙ্গে গঙ্গাবক্ষে বিজেপির যে তিনজন তারকা প্রার্থীকে দেখা গিয়েছিল, তার অন্যতম ছিলেন শ্রাবন্তী। 

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। কড়া সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এরপর বিধানসভা ভোটে বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন শ্রাবন্তী। ফলপ্রকাশের ৬ মাস পর গত ১১ নভেম্বর, বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা করেন তিনি। 

গত বিধানসভা নির্বাচনে যে দলের হয়ে লড়েছিলাম, সেই বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপির কোনও উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না, তাদের নিষ্ঠারও অভাব রয়েছে। বিজেপি ছাড়ার আগে ১৩ অগাস্ট অভিনেত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রও গিয়েছিল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। 

সূত্রের খবর, সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও, এদিন চার বিধায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঞ্চ ছিলেন একদা বিজেপি নেত্রী। আর এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জোর গুঞ্জন। তাহলে কি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শ্রাবন্তী?