মুম্বই:  শনিবার রাত সাড়ে এগারোটায় মৃত্যুর পর ৫৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধে কেটে গেলেও ফেরে না দেহ। এরমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু নয়, মদ্যপ অবস্থা বাথটবের জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। এরপরই সোমবার দেহ ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ফিরতে পারে অভিনেত্রীর দেহ। দুবাইয়ের সরকারি আইনজীবীর অনুমতির পরই দেহ মুম্বইয়ে ফেরানো সম্ভব। সূত্রের খবর, আজ সকাল দশটার পর শ্রীদেবীর নিথর দেহ মর্গ থেকে ছাড়ার একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর দেহ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সহ আরও কিছু কাজকর্মের পর দেহ আনা সম্ভব মুম্বইয়ে।

এদিকে এই ঘটনায় দুবাই পুলিশ শ্রীদেবীর স্বামী বনি কপূরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তাঁর বয়ান নথিভূক্ত করেছে। শুধু বনি নন, দুবাই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিনেত্রীর পরিবারের অন্য সদস্য এবং যে হোটেলে শ্রী-র দেহ মিলেছে, সেখানকার কর্মীদেরও। প্রসঙ্গত, শ্রীদেবীর স্বামীই প্রথম অভিনেত্রীকে বাথরুমের বাথটবে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানকার চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে নিজের বয়ানে জানান বনি।  বনিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হোটেলে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, সেখানকার পুলিশের সবুজ সঙ্কেত ছাড়া, দুবাই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না বনি। এছাড়া মোহিত মারওয়ার পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শ্রীদেবীর ফোনের কললিস্টও, খবর সূত্রের। ফের দেহের ময়নাতদন্তও করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ভারত থেকে অভিনেত্রীর বিভিন্ন মেডিক্যাল রেকর্ডও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রোসিকিউটর অফিসের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কীধরনের অস্ত্রোপচার এবং চিকিত্সা শ্রীদেবী করিয়েছেন। যার সঙ্গে আদও এই মৃত্যুর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখবে তদন্তকারী অফিসারেরা।

পুরো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে বলেও জানিয়েছে দুবাই পুলিশ। জুমেরা এমিরেটস টাওয়ারের রুম নম্বর ২২০১তে পড়েছিল শ্রীদেবীর দেহ। এদিকে দুবাই পুলিশের তরফে ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়েছে, আরও একটি ক্লিয়ারেন্সের পর তবেই ছাড়া যাবে অভিনেত্রীর দেহ। সেক্ষেত্রে ঠিক কখন দেহ ভারতে পৌঁছবে, সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।