দুবাই: হার্ট অ্যাটাক নয়, দুবাইয়ের হোটেলে যে সুইটে ছিলেন, সেখানেই বাথটবের জলে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিনেত্রীর মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড়।
তার সঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শ্রীদেবীর শরীরে অ্যালকোহলের অস্তিত্ব মিলেছে। সূত্রের দাবি, মত্ত অবস্থায় টাল সামলাতে না পেরেই বাথটবে পড়ে যান শ্রীদেবী। আর তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সব মিলিয়ে উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। যার জেরে অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে নতুন তদন্ত শুরু করেছে দুবাই পুলিশ। দুবাই পুলিশ প্রথমেই যা জানতে চাইছে, তা হল, কীভাবে বাথটবে পড়ে গেলেন শ্রীদেবী? পুলিশ জানতে চাইছে, বাথটবে যখন পড়ে গেলেন, সেই সময় তাঁর পরিস্থিতি কী ছিল?
পুলিশের আরও যা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, তা হল— বাথটবের সামান্য জলে ডুবে কীভাবে শ্রীদেবীর মৃত্যু? ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির লম্বা শ্রীদেবী কীভাবে বাথটবে ডুবলেন? কতক্ষণ বাথটবে পড়েছিলেন শ্রীদেবী?
এছাড়াও, আরও তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে চাইছে, মৃত্যুর সময় হোটেলের রুমে শ্রীদেবীর সঙ্গে কে ছিলেন? এর জন্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে, শ্রীদেবীর মোবাইলের কল-লিস্টও।
প্রয়াত অভিনেত্রীর স্বামী বনি কপূরের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁকে তলব করা হয়েছে। সম্ভবত তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে।
এই পরিস্থিতি দুবাই পুলিশ নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। ঘটনাক্রমগুলি পরপর সাজাচ্ছে তারা। প্রধাণত, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণের সূত্র ধরে তদন্ত করছে দুবাই পুলিশ।
ইতিমধ্যেই, জুমেইরা এমিরেটস টাওয়ার্সে শ্রীদেবীর ঘর পরীক্ষা করছে দুবাই পুলিশ। করিডর, ঘরের বাইরের লবির সিসিটিভি বাজেয়াপ্ত করল দুবাই পুলিশ। হোটেল কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করছে দুবাই পুলিশ। শ্রীদেবীর ঘরে জল দিতে যাওয়া হোটেল কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।