মুম্বই:  শ্রীদেবীকে খুব কাছে থেকে তাঁর দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল, অবশ্যই কর্মসূত্রে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর রামগোপাল বর্মার আবেগতাড়িত একটি চিঠিও লেখেন । এবার তিনি শ্রীর ভক্তদের জন্যে অভিনেত্রীর পুরো জীবনটা খোলা চিঠির মাধ্যমে খুলে দিয়েছেন।

রামগোপাল চিঠিতে স্পষ্ট লিখেছেন শ্রীদেবী ছিলেন একজন খাঁচায় বন্দি পাখি। অভিনেত্রীর বাবার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত শ্রী উড়তেন আকাশে, কিন্তু তারপর অভিনেত্রীর মা তাঁকে নিঃস্ব করে দেন। বোনের সঙ্গে সম্পত্তিঘটিত কারণে দূরত্ব তৈরি হয় শ্রীর। সেই সময়ই বনি কপূর আসে তাঁর জীবনে। কার্যত, সেই সময় বনিও ছিলেন নানা দেনায় জর্জিরত। তিনি শুধু শ্রীকে দিতে পেরেছিলেন কাঁদবার জন্যে একটা কাঁধ। তেব পরে বিয়ে হয়ে তাঁদের।

প্রসঙ্গত, ছোট থেকে যত দিন বেঁচেছেন, ততদিন শুধু নিজের লোকেদের থেকে আঘাত পেয়েছেন শ্রী। যাঁকে সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ চাইত, তিনি ছিলেন নিজের জগতে একলা, নিঃস্ব। একমাত্র ক্যামেরার সামনে যখন অ্যাকশন শুনতেন, তখন নিজের ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডে ঢুকে যেতেন শ্রীদেবী। একজন তারকার জীবনে যা যা অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা থাকে, সবই ছিল শ্রীর জীবনে। তাই সর্বক্ষণ নানা সার্জারি করে, ওষুধ খেয়ে নিজেকে চিরযৌবনা রাখার চেষ্টা করতেন শ্রী। কিন্তু ভেতর ভেতরে তিনি ছিলেন মারাত্মকভাবে একলা, অসুখী মানুষ।

রামুর কথায়, তিনি ছিলেন এমন একজন নারী যাঁর শরীরের মধ্যে আটকে ছিল একজন শিশু। যাঁর পুরো জীবনটা পরিচালনা করেছেন কখনও তাঁর বাবা-মা, কখনও তাঁর আত্মীয়, কখনও স্বামী, এমনকি তাঁর সন্তানেরা।এখন তিনি স্বাধীনভাবে ফের উড়ছেন তাঁর আকাশে.....