মুম্বই:  গত এপ্রিলেই মাইকে আজানের প্রতিবাদ করে তোপের মুখে পড়েন সনু নিগম। তাঁকে এতটা চরম পর্যায়ে গিয়ে হেনস্থা করা হয়, যে তিনি টুইটার ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর সেই একই আজান নিয়ে প্রতিবাদ করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী এবং গায়িকা সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। দুদিন আগেই সুচিত্রা টুইট করে মন্তব্য করেন,





তারপর তিনি বলেন, ভগবানকে মনে করানোর জন্যে লাউডস্পিকারের প্রয়োজন নেই তাঁর। এরপরই প্রশংসা এবং নিন্দা দুইয়েরই সম্মুখীন হতে হয় সুচিত্রাকে। অনেকে যেমন তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন এধরনের বিষয় প্রসঙ্গে মন্তব্য করার সাহস দেখানোয়। সেখানে আর একদল কুচ্ছিত যৌনইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করে ক্রমাগত তাঁকে টুইটারে হেনস্থা করে চলেন। এমনকি তাঁকে অভিনেত্রী নয়, যৌনকর্মী বলেও আক্রমণ করেছে নিন্দুকেরা।

 




পরে সেই নোঙরা টুইটগুলোর একটি কোলাজ বানিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন সুচিত্রা। তারপরই তিনি বলেন, এই বিকৃতমনস্ক মানুষগুলোকে দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। ভারতে মহিলাদের সম্পর্কে এই ধারনা মানুষের। তারপর তিনি লেখেন, এখন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না কেন, ভারতকে ধর্ষণের রাজধানী বলে ডাকা হয়।

সোনু নিগমের পর আজান নিয়ে ট্যুইট করে বিতর্কে সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি


এক টুইটার ব্যবহারকারী সুচিত্রাকে মনে করিয়ে দেন, আজান নিয়ে মন্তব্যের পর তাঁকে টুইটার ছাড়তে হয়েছিল। তাঁকে পাল্টা সুচিত্রা বলেন, তারপর থেকেই আজান আরও তারস্বরে বাজা শুরু করেছে, এবং সেটা মোটেই স্বস্তির নয়। প্রসঙ্গত, সনু এবং সুচিত্রা একই এলাকায় থাকেন এবং ওই একই জায়গা থেকেই সুচিত্রাও টুইট করেছেন।