মুম্বই: ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলায় বেশ বেকায়দাতেই পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez)। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং অভিযুক্তর থেকে পাওয়া উপহারের বহর ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। আর তারা যে চার্জশিট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। ২২ অক্টোবর এই মামলায় শুনানি ছিল। পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট অভিনেত্রীর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ কিছুদিন বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে সাময়িক স্বস্ত্বি পেলেও জ্যাকলিনের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যায়নি। আর এবার 'কিক' অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি।
ফের জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনল ইডি?
২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলায় ২২ অক্টোবর ছিল শুনানির দিন। গত সেপ্টেম্বরে আদালত অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। আর ২২ অক্টোবর সেই জামিনের মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ায় পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগ থাকার দাবি তুলে ইডি একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জ্যাকলিনকে। আর এবার ইডির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে যে, অভিনেত্রী তাঁর মোবাইল ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে দিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে খবর, ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ স্বীকার করেছেন যে তিনি তাঁর ফোন থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য ব্যক্তিদেরও এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ফোন থেকে মুছে ফেলতে বলেছেন। তিনি বিদেশেও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের পক্ষ থেকে কিংবা তাঁর মুখপাত্রের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য অফিশিয়ালি জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন - Katrina Kaif: ক্যাটরিনা কাইফের বাড়ি সাজিয়ে দিলেন এই তারকাপত্নী
২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরূপের মামলায় মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর এবং লীনা মারিয়া পল। এই মামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে একাধিকবার জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই আর্থিক তছরূপের ঘটনার অনেকটাই জানতেন জ্যাকলিন। সুকেশ চন্দ্রশেখরের অপরাধ সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন। এমনকি, অভিযুক্ত সুকেশ এবং লীনার এই অপরাধমূলক কার্যকলাপ জ্যাকলিন উপভোগও করতেন। ইডির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, 'সুকেশের অপরাধমূলক কার্যকলাপ শুধুই উপভোগ কিংবা ভোগ করতেন না জ্যাকলিন, এই সংক্রান্ত নানা কিছু তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেও শেয়ার করতেন। সুকেশ যে তাঁকে বহুমূল্য উপহার দিতেন, তার অর্থ যে কোনও সহজ রাস্তায় আসতো না, সে সম্পর্কেও তিনি জানতেন।'