কলকাতা: ক্যামেরার সঙ্গে সখ্যতা সেই ৯ বছর বয়স থেকে। আর মঞ্চের সঙ্গে আরও আগে। সেইসময় অভিনয়, নাচ, গান, সবটাই যেন করতেন মজা করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেন অনেক চিন্তা বেড়ে গিয়েছে। এখন মঞ্চে উঠলে, শ্যুটিং ফ্লোরে গেলে ভয় হয়। মনে হয়, 'প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব তো?' ওপেন টি বায়োস্কোপ (Open Tee Bioscope)-এর তিতির থেকে শুরু করে 'বল্লভপুরের রূপকথা' (Ballabhpurer Rupkotha)-র ছন্দা, এবিপি লাইভের সঙ্গে রূপোলি পর্দার সফর ফিরে দেখলেন সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Surangana Bandyopadhyay)। 


নৃত্য প্রতিযোগিতার সৌজন্যে খুব ছোট বয়সেই পরিচিতি পেয়েছিলেন। রূপোলি পর্দার সঙ্গে যোগাযোগও এক্কেবারে কিশোরী বয়স থেকেই। অভিনয়, নাচ, গানকে সঙ্গে নিয়েই তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। ওপেন টি বায়োস্কোপ (Open Tee Bioscope)-এর তিতির থেকে শুরু করে 'বল্লভপুরের রূপকথা' (Ballabhpurer Rupkotha)-র ছন্দা, পার্থক্য কোথায়? সুরঙ্গনা বললেন, 'সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে বয়স। যখন ছোট ছিলাম, তখন কোনও কিছু করার আগে মাথায় কোনও ভাবনাই কাজ করত না। খুশি হয়েই কাজ করেছি। বড় হওয়ার পরে মঞ্চে ওঠার আগেও কেমন ভয় করে। মনে হয়, দর্শকদের ভাল লাগবে তো? পরিচালকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব তো? ছোটবেলায় কখনও এসব ভাবিনি। এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তো বিভিন্ন চরিত্র অভিনয়ের সুযোগ আসতে থাকে।'


আরও পড়ুন: Satyam Bhattacharya Exclusive: 'সুঠাম চেহারা, উচ্চতা না থাকলেও মানুষ নায়ক হিসেবে পছন্দ করছে'


গানের আগে অভিনয় শিখেছেন তিনি। তাহলে কেন গানের বদলে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী? সুরঙ্গনা বলছেন, 'আমি অভিনয় আর গান দুইই একসঙ্গে চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই গানের পরিবেশেই বড় হয়েছি। বাবা-মা, দাদু সবাই গান গাইতেন। ওপেন টি বায়োস্কোপ-এর পরে আমি অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবি। তবে এখনও রীতিমতো রেওয়াজ করি। আসলে চেষ্টা করি, যদি সুযোগ আছে, তখন যাতে সঠিকভাবে কাজটা করতে পারি।'


নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ সুরঙ্গনা। সাধারণের থেকে নায়িকাসুলভ দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁর কী মতামত? সুরঙ্গনা বলছেন, 'আমি তো মাঝে মাঝেই হারিয়ে যেতে চাই সবার মধ্যে। তাই নায়িকাদ্যুতি বা নায়িকাসুলভ দূরত্ব কখনোই রাখতে চাই না। আসলে টলিউডে এখন নায়িক নায়িকা ধারণাটা বদলে যাচ্ছে। সবাইকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবেই দেখা হয়। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-তে যেমন নায়ক বা নায়িকা ওই বাড়িটাই। আমি কেবল মন দিয়ে চর্চাটা করে যেতে চাই যাতে সেটা আমার কাজে ফুটে ওঠে। তবেই ভবিষ্যতে ভাল কাজ পাওয়ার একটা সুযোগ থাকতে পারে।'