মুম্বই: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ২০২০-তে তাঁর ব্রেন স্ট্রোকও হয়েছিল।


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ব্রেন স্ট্রোকের পরেই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্বিতীয়বার ব্রেন স্ট্রোকের পরে শারীরিক সমস্যা আরও বাড়ে। এরপর আর অভিন. করার মতো শারীরিক পরিস্থিতি ছিল না। জ়োয়া আখতারের ছবি ঘোস্ট স্টোরিজে শেষবার অভিনয় করেছিলেন সুরেখা সিক্রি।  যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল। ‘তমাস’, ‘মাম্মো’, ‘বধাই হো’-তে তাঁর অভিনয় ভোলার নয়। এই তিনটি ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। বলিউড সহ টেলিভিশনে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি। 


১৯৪৫ সালের ১৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের জন্ম সুরেখার। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে  ভর্তি হন ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। ১৯৭১ সালে পাশ করেন তিনি। ১৯৮৯ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পান সুরেখা। বাবা ছিলেন বায়ুসেনা অফিসার। মা ছিলেন শিক্ষিকা। হেমন্ত রেগের সঙ্গে বিয়ে হয় হয় সুরেখার। 


নাট্যমঞ্চেও নিজের অভিনয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। অভিনয়ে হাতেখড়ি থিয়েটারের মাধ্যমে। এক সময় দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ওম পুরী, রঘুবীর যাদব এমনকি, নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে একাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পরবর্তীকালে শুরু হয় সিনেমা থেকে টেলিভিশনে অভিনয়। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। ১৯৭৮ সালে অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন সুরেখা সিক্রি। তাঁর প্রথম ছবি ‘কিসসা কুর্সি কা’। টেলি-ধারাবাহিক বালিকা বধূতেও তাঁর অভিনয় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। নেটফ্লিক্সের অ্যান্থোলজি সিরিজে জোয়া আখতারের পরিচালনায় একটি ছোট ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণতি’, ‘নজর’, ‘সরদারী বেগম’, ‘সরফরোশ’, ‘দিল্লগি’, ‘জুবেইদা’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’, ‘রেনকোট’, ‘তুম সা নহিঁ দেখা’, ‘জো বোলে সো নিহাল’ এবং ‘দেব ডি’ ছবিতে তাঁর অভিনয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের।