নয়াদিল্লি: জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২ জঙ্গি। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীনগরের আলমদার কলোনিতে জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে, এই খবর পেয়ে অভিযান চালায় বাহিনী। সে সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, সংঘর্ষে নিহত হয় ২ জঙ্গি। আরও কেউ লুকিয়ে আছে কি না, তা দেখতে তল্লাশি চলছে।
এর আগে পুলওয়ামায় মঙ্গলবার রাত থেকে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জঙ্গির। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সংঘর্ষ চলছে। পাশাপাশি, কুলগামে গতকাল রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কেজি আইইডি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে পুলওয়ামার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেন। এরপরেই জঙ্গিদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। খতম হয় তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। সে হল পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডার আয়াজ ওরফে আবু হুরেইরা। বাকি দু’জন স্থানীয় জঙ্গি।
এদিকে ফের জম্মুর আকাশে ড্রোন পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৮টা নাগাদ জম্মুর নান্দপুর, রামগড়, সাম্বা ও মিরাসাহিবে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে চারটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। নান্দপুরে সেনা জওয়ানরা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালান বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। বেশ কিছুক্ষণ জম্মুর আকাশে ছিল ওই চারটি ড্রোন।
তার আগে পরশু রাতে জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে। মঙ্গলবার রাতে আরনিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে আকাশে চলন্ত আলোকোজ্জ্বল বস্তু দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর পর সেটি পাক সীমান্তের দিকে চলে যায়। গত ২৬ জুন, গভীর রাতে, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে। এয়ার ট্রাফিক সিগনাল বিল্ডিংয়ের পাশের একটি বাড়ির ছাদে এসে পড়ে বোমা। বিস্ফোরণে আহত হন ২ জওয়ান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালুচক সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। পরের দিন সুঞ্জুয়ানে এক রাতে ৩ বার আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে।