ওই কাপড় গলায় ফাঁস লাগিয়ে অভিনেতা আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই কাপড়ের টেনসাইল স্ট্রেংথ ( ভার বহনে সক্ষমতা) পরীক্ষা করা হবে ফরেনসিক ল্যাবে। দেখা হবে, ওই কাপড় সুশান্তর শরীরের ওজনের সমান ভার বহন করতে সক্ষম ছিল কিনা। পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সুশান্তর মৃত্যুতে কোনও চক্রান্ত রয়েছে কিনা, তা জানার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সহায়ক হবে। এদিকে, সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে বান্দ্রা পুলিশ চলচ্চিত্র পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালীকে তাঁর বয়ান নথিভূক্ত করতে তলব করেছে। তাঁকে সোমবার আসতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, বনশালী প্রয়াত অভিনেতাকে তাঁর সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সময় দিতে পারার মতো সমস্যা থাকায় সুশান্ত বনশালীর সিনেমায় কাজ করতে পারেননি।
গত ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৩৪ বছরের সুশান্তকে। তাঁর বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
পুলিশের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, চূড়ান্ত ফরেনসিক রিপোর্ট আসতে তিন দিন বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা কাপড়টি খতিয়ে ও বিশ্লেষণ করে দেখবেন।
টেনসাইল স্ট্রেংথ টেস্ট প্রযুক্তিগতভাবে দেখাবে যে, ওই কাপড় সুশান্তর ৮০ কেজি ওজনের ভার বহনে সক্ষম কিনা। কোনও বস্তু প্রসারিত হলে ছিঁড়ে বা ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ কতটা ভার বহন করতে পারে, তা হল টেনসাইল স্ট্রেংথ।
অভিনেতার মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্টও এখনও জমা পড়েনি বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। সম্প্রতি পুলিশ কুপার হাসপাতাল থেকে অভিনেতার শরীরের ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। ওই রিপোর্টে ঝুলে পড়ার ফলে শ্বাসরোধে মৃত্যু বলে জানানো হয়েছে।
সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনায় সম্ভাব্য পেশাদারি প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুলিশ অভিনেতার অবসাদের কারণ নিয়ে তদন্ত করবে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।
পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সুশান্তর পরিবারের লোকজন সহ ২৯ জনের বয়ান নথিভূক্ত করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্তর ঘনিষ্ঠ বন্ধু রিয়া চক্রবর্তী, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা, যশ রাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা ও অভিনেত্রী সঞ্জনা সাংঘি। ‘দিল বেচারা’য় সঞ্জনার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত।