নয়াদিল্লি: সুশান্ত সিংহ রাজপুত মামলায় সিএফএসএল-এর রিপোর্টে খুন সংক্রান্ত সরাসরি কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। ঘটনার দৃশ্যের পুনর্নিমানের পর সুশান্তর মৃত্যকে 'ফুল হ্যাঙ্গিং' বলে মানা হয়নি। সিএফএসএল-এর তদন্তকারীরা সুশান্তর মৃত্যুকে 'পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং' বলে মেনে নিয়েছেন। বোঝার সুবিধার জন্য 'পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং' মানে পুরোপুরি নয়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে অর্ধেক ঝুলে থাকার পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ঘটনা 'পার্শিয়াল হ্যাঙ্গিং' হয়ে থাকে।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দুই হাতই সমান কার্যকরী ছিল বলে বলা হত। কিন্তু বাড়ির লোকজনের বয়ানের ভিত্তিতে তিনি ডানহাতি বলেই জানা গিয়েছে। ডান হাতি ও গলায় লিগেচার মার্কের দাগের পরিস্থিতির বিশ্লেষণও রিপোর্টে করা হয়েছে। সুশান্তর লিগেচার মার্কে যেখানে ফাঁসের গাঁট ছিল তা ডানহাতির পক্ষে বাঁধা সম্ভব।


সিলেকশন অফ হ্যাঙ্গিং ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড ইটস অ্যানালাইসিস রিপোর্টও সিএফএসএল তাদের রিপোর্টে সামিল করেছে। এতে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে যে কাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা সুশান্তর ফাঁস দেওয়ারই কাপড়।
প্রোবাবিলিটি অ্যান্ড প্রক্সিমিটি অফ ক্লথ সিলেকশন-এর রিপোর্টও সিএফএসএল রিপোর্টের অঙ্গ।
এক্সাক্ট অ্যানাটমিক লোকেশন অফ অপ্ল্যায়েড ফোর্স ইন হ্যাঙ্গিং-এর বিষয়টিও রিপোর্টে রয়েছে। অ্যাপ্লায়েড ফোর্সের মাত্রার উল্লেখও রিপোর্টেও করা হয়েছে। এছাড়াও ডিউরেশন অফ অ্যাপ্লায়েড ফোর্স, এরিয়া অফ অ্যাপ্লায়েড ফোর্স-এর উল্লেখ এবং ফোর্স ডিস্ট্র্ববিউশনের বিশ্লেষণও সিএফএসএল সিবিআই দলকে দেওয়া হচ্ছে। এই সব তথ্যের বিস্তারিত পর্যবেক্ষণও সিবিআই-কে দেওয়া হচ্ছে।