কেন বিহার পুলিশের তদন্তকে বেআইনি আখ্যা দিচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী? এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি কারণ দর্শান তাঁর আইনজীবী।
১. যেদিনই সুশান্তের বাবা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, সেইদিনই পুলিশ এফআইআর নিয়ে নেয়। আশ্চর্যজনকভাবে বিহার পুলিশের কাছে কেকে সিংহ যান ছালার মৃত্যুর ৪০ দিন পর!
২. বিহার পুলিশ রিয়াকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য সমন না পাঠিয়ে সটান মুম্বইতে হাজির হয়ে যায়।
৩. বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এই কথা বলা হয়, প্রথমে নাকি বিহার পুলিশ এফআইআর রেজিস্টার করতে চায়নি। পরে শাসকদলের চাপে পড়েই এফআইআর নেয়।
৪. রিয়ার আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল সব তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু যেসব সংস্থার এই মামলার তদন্ত করার এক্তিয়ার রয়েছে, তাদের কাছে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন রিয়া চক্রবর্তী।
৫. যেভাবে বিহার পুলিশ এই মামলার তদন্ত করছে, তাতে তাঁদের সন্দেহ এতে আদৌ রিয়ার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হবে কি না।
সেই সঙ্গে আইনজীবী মারফত রিয়া জানান, আদিত্য ঠাকরেকে তিনি চেনেন না। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেননি। ফোনে বা অন্য কোনও মাধ্যমেও আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে রিয়া কথা হয়নি। উল্লেখ্য, এই মামলায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের নামও উঠে আসে বিজেপি নেতাদের কথায়। তবে আদিত্য তথা মহারাষ্ট্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রী আগেই দাবি করেছিলেন যে, এই মামলায় তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন।
সূত্রের খবর, সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া অর্থ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিজের অকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিয়েছেন ইডি -র কাছে বলে দাবি করেন রিয়া। সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে, কোন সূত্রে তিনি এই তথ্য পান, তাও জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।
সুশান্তকাণ্ডে সমস্ত ইলেকট্রনিক্স, ফরেনসিক ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিজেদের হেফাজতে রেখেছে মুম্বই পুলিশ। শেয়ার করেছে ইডির সঙ্গেও জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
সোমবার দিল্লিতে সুশান্ত সিং রাজপুত এর বাবা কে কে সিংয়ের বয়ান রেকর্ড করল ইডি। সূত্রের খবর, সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া অর্থ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে, কোন সূত্রে তিনি এই তথ্য পান, তাও জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।