কলকাতা: সুশান্ত সিংহ রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। এই মামলায় আগেই ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিয়েছে সেট্রাল বিউরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা CBI। বলা হয়েছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে মোটেই আত্মহত্যা করার জন্য বাধ্য করা হয়নি বা এই ঘটনায় বাইরের কারোর হাত নেই। এই ঘটনায় কোনও ভূমিকা ছিল না সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)-রও। সুশান্ত আত্মহত্যা করার সময় একাই ছিলেন। এই বিষয়ে কারোও কিছু করার ছিল না। সিবিআইয়ের তরফ থেকে এও জানানো হয়, সুশান্ত সিংহ রাজপুত রিয়াকে তাঁর পরিবার বলে মনে করতেন। কার্যত, CBI ক্লিনচিট দিয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। তবে সিবিআইয়ের এই ক্লোজার রিপোর্ট মানতে রাজি নন, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের পরিবার। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, CBI-এর দেওয়া এই ক্লোজার রিপোর্টকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের পরিবার। 

Continues below advertisement

সিবিআই যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে কোনও প্রমাণ নেই যা দেখায় যে তাঁকে অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছিল বা আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। তবে সুশান্তের পরিবার রিপোর্টটিকে অসম্পূর্ণ এবং প্রহসনের কাগজপত্র বলে অভিহিত করেছেন। জানিয়েছে, তারা আদালতে এই ক্লোজার রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বরুণ সিংহ সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেন, CBI-এর এই রিপোর্ট এটি শুধু প্রহসন মাত্র। সিবিআই যদি সত্যিই তদন্তের ফল প্রকাশ করতে চাইত, তবে তারা সব প্রমাণপত্র, চ্যাট, প্রযুক্তিগত রেকর্ড, সাক্ষীর বিবৃতি, মেডিক্যাল রিপোর্ট ক্লোজার রিপোর্টের সঙ্গে আদালতে দাখিল করত। এখানে তো তোমন কিছুই নেই। আমরা এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক পিটিশন দাখিল করব।'

সিবিআই রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?১  সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছে, তাকে কেউ জোর করেনি।২  রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবার ক্লিন চিট পেয়েছে।৩ কোনও ক্রিমিনাল অ্যাঙ্গেল বা 'ফাউল প্লে' (ষড়যন্ত্র) পাওয়া যায়নি এই কেসে।৪ AIIMS ফরেনসিক দলও খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।৫ সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটগুলি তদন্তের জন্য আমেরিকায় পাঠানো হয়েছিল, টেম্পারিংয়ের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

Continues below advertisement

কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল দেহসেই সময় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুশান্তের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পরে, সুশান্তের পরিবার রিয়া চক্রবর্তী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে পাটনায় একটি এফআইআর দায়ের করে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, চুরি সহ অন্যান্য অভিযোগ করে।