নয়াদিল্লি: সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। প্রথম ভারতীয় যিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে জেতেন 'মিস ইউনিভার্স' (Miss Universe) খেতাব। এরপরে অভিনয় জগতে পা। নিজের মতে সাজিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন। তাঁকে দেখে অজস্র নারী অনুপ্রাণিত বোধ করেন, কিন্তু এক সময় তাঁকে 'খারাপ প্রভাব' (Bad influence) হিসেবে দেগে দেওয়া হয়। নিজেই জানালেন কটাক্ষের শিকার হওয়ার কথা।
'বাচ্চাদের ওপর খারাপ প্রভাব', কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন সুস্মিতা সেন
সম্প্রতি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) পডকাস্টের প্রথম পর্বের অতিথি হয়ে এসেছিলেন 'তালি' অভিনেত্রী। নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখতে লড়াই করতে হয়েছে সুস্মিতাকে প্রবল, এই পডকাস্টে খোলাখুলি জানান সেই কথা। স্মৃতির পাতা উল্টে বলেন, যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮, এক সাক্ষাৎকারে 'সেক্স' শব্দটা উচ্চারণ করার জন্য মা-বাবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পরেরবার থেকে 'সাবধান' হতে বলা হয় তাঁকে।
সুস্মিতা বলেন, 'আজকের মতো এক খোলা মনের ছিল না তখন সমাজ। সবকিছুতেই সকলের মুখ 'হাঁ' হয়ে যেত। এত বাড়াবাড়ি ছিল যে আমার মা ও বাবা আমাকে বসিয়ে বলেছিলেন, 'তোমার কাঁধে অনেক ভার এবং যা বলছ তা খানিক কাটছাঁট করে বলো। মাত্র ১৮ বছর বয়সে একটা সাক্ষাৎকারে কেন 'সেক্স' শব্দ ব্যবহার করছ? শোভা দে তোমার সম্পর্কে খারাপভাবে লিখেছেন।' এবং আমার মনে আছে ওঁর নাম নির্দিষ্টভাবে উঠে এসেছিল, কারণ তিনি বাঙালি। বলা হয় বাঙালিরা বুদ্ধিজীবী। ফলে, সেই বুদ্ধিজীবী প্রতিবেদনগুলোই বেশি সমস্যার ছিল, গসিপ প্রতিবেদনগুলি নয়।'
কিন্তু এরপর শোভা দের সঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ওই একই শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, 'আমি ইচ্ছা করেই ওই শব্দটা নিয়ে আসি কারণ আমি 'মিস ইউনিভার্স' বা 'সবচেয়ে সুন্দরী মানুষ' হতে চাইনি। আমি স্বাধীন মানুষ হতে চেয়েছি, এমন একজন যে সত্যিকারের স্বাধীন। সেই চেষ্টাতেই আমি ভারতের প্রথম মিস ইউনিভার্স হয়েছি। ওই স্বাধীনতাই আমাকে এই স্থানে পৌঁছেছিল। সেই খেতাব যখন আমি জিতলাম সকলে আমার সেই স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টায় ছিলেন কারণ নানা কারণে আমার কাঁধে অনেক দায়িত্ব।'
আরও পড়ুন: Bollywood News: অনন্যা পাণ্ডে থেকে বরুণ ধবন, অডিশনে ব্যর্থ হয়েছেন যে তারকা সন্তানরা
'আরিয়া' অভিনেত্রীকে অনেক লড়াই করতে হয় কারণ, এই বৈষম্য এবং সমালোচনা প্রায়শই তাঁর পক্ষে অসহ্য হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, 'আমাকে প্রচণ্ড লড়াই করতে হয়, এবং সেই সময়, অনেক মা ও বাবারা এমন ছিলেন যাঁরা মনে করতেন আমি বাচ্চাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলব কারণ আমি স্পষ্টভাষী। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি যে যদি প্রত্যাখ্যানকে খুব বেশি দিন ধরে রাখা হয় তবে তা মেনে নেওয়ায় পরিণত হয়। এটা আমি আমার জীবনে বারবার দেখেছি। জীবনে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যখন মনে হবে, 'অভিনেতা হিসেবে ব্যাকগ্রাউন্ডে গাছ হয়ে থাকতে থাকতে আমি বিরক্ত'।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।