মুম্বই: প্রয়াত আমূল গার্ল (Amul Girl)-এর স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহা (Sylvester daCunha)। বিজ্ঞাপনী জগতের কার্যত মহীরুহ পতন হল তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। মজার মোড়কে আমূল গার্লকে প্রথম বিজ্ঞাপনের পর্দায় এনেছিলেন তিনিই। মাখন-এর এমন অভিনব বিজ্ঞাপন মন ছুঁয়েছিল সবারই। পেন্সিল স্কেচে প্রথম আমূল গার্লকে (Amul Girl)-কে ফুটিয়ে তুলেছিলেন এই সিলভেস্টর ডাকুনহা।


আশি বছরের ওপরে বয়স হয়েছিল এই শিল্পীর, ফেলে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে। ১৯৬৬ সালে প্রথম জন্ম হয়েছিল এই আমূল গার্লের। সাদার ওপর লাল ববি প্রিন্টের হাতকাটা ফ্রক, মাথার গাঢ় নীল চুলে ঝুঁটি করে বাঁধা ম্যাচিং রিবন আর পায়ে জুতো মোজা। গোল গোল চোখে সারল্য আর খুনসুটি যেন মিলেমিশে রয়েছে। পাঁউরুটির ওপরের গাঢ় মাখনের প্রলেপ এক হাতে চেটে খেয়ে দিব্যি খুশি সে। ১৯৬৬ সালে বানানো এই কার্টুন যে গোটা বিশ্বে এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, সেটা বোধহয় সেসময় আঁচ করতে পারেননি সিলভেস্টর ডাকুনহা নিজেও। আর্ট ডিরেক্টর ইউস্তাসে ফার্নান্ডেজের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজটি করেছিলেন তিনি। 


সেই সময়ে মাখনের এই ব্র্যান্ডের জন্য যখন একটি আইকনিক ম্যাসকটের প্রয়োজন ছিল। সেই দায়িত্ব গিয়ে পড়ে সিলভেস্টর ডাকুনহার সংস্থার ডাকুনহা কমিউনিকেশনের উপর। আর তারপরে ইতিহাস। রাস্তার ধারের বিলবোর্ড থেকে শুরু করে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন, পরবর্তীকালে টিভি, সবেতেই তখন এই সংস্থার তৈরি আমূল গার্লের একের পর এক সুপারহিট বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতে থাকল। অল্প দিনের মধ্যেই সুপারহিট হয়ে উঠল ডাকুনহার তৈরি আমূল গার্ল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিজ্ঞাপন জায়গা করে নিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও।


বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় এই আমূল গার্লকে। তার প্রত্যেকটাই অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, জনপ্রিয়তাও পায় ভীষণ তাড়াতাড়ি। আর তাই, আমূল গার্লের স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহার প্রয়াণের খবরে মনখারাপ সবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কার্টুনও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চিরাচরিত চেনা হাসি মুখ বাদ দিয়ে দু চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে আমূল গার্লের। সে যে আজ পিতৃহারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিলভেস্টর ডাকুনহার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশবিদেশের একাধিক ব্যক্তিত্ব। 


 






আরও পড়ুন: Business Trip: কর্মসূত্রে প্রচুর বাইরে যেতে হয়? নজরে থাকুক এই বিষয়গুলি


আরও পড়ুন:Europe Tour : বিঠোভেনের শহর, রামধনু রং, ঘুমের ওপারে নতুন দেশ...