কলকাতা: তখন সবেমাত্র করোনার লকডাউনবিধি কিছুটা শিথিল হয়েছে। ঘরবন্দি মানুষ সেসময় বাইরে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। ঠিক সেই সময়েই অফার আসে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' ছবির শ্যুটিংয়ের। দার্জিলিং, ডুয়ার্সের কোলে একটা পরিবারের গল্প, প্রেমের গল্প। ১৭ জন তারকা যখন পাহাড়ের কোলে একত্রিত হয়, ঠিক কী হয় তখন? এবিপি লাইভকে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র ক্যামেরার পিছনের গল্প শোনালেন তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanusree Chakraborty)।


 


আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা ও তনুশ্রী


রোজ শ্যুটিংয়ে ঝকঝকে রোদ, পরিষ্কার কাঞ্চনজঙ্ঘা, কেমন ছিল শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা? তনুশ্রী বলছেন, 'এই ছবির শ্যুটিং এমন একটা সময়ে শুরু যখন মানুষ ভীষণভাবে বাইরে বেরতে চাইছিল। এই ছবিটা একটা পেইড হলিডের মত ছিল আমাদের কাছে। সবচেয়ে বড় কথা এত প্রিয় জায়গা। দার্জিলিং, ডুয়ার্স, কাঞ্চনজঙ্ঘা। গল্পটাও দারুণ। সবাই চুটিয়ে কাজ করেছি।' 


শ্যুটিং নাকি পিকনিক। শটের মাঝেই নাকি 'গ্লেনারিজ'-এ (Glenary's) চলে যেতেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সেখান থেকে ফোন করে ফের ফিরিয়ে আনা হল সেটে। আর সেটটাই তো একটা ঘোরার জায়গা। দারুণ একটা বাংলোয় শ্যুটিং হচ্ছিল। পরিচালক বলেছিলেন, শ্যুটিং সেটেই ব্যাডমিন্টন খেলা চলত, রান্না চলত। সেই সুরে সুর মিলিয়ে তনুশ্রীও বললেন, 'সেটে গিয়েই আমরা ঠিক করতাম, আজকে কী খাব? কখনও লঙ্কা বাটা দিয়ে শশা বা আপেল। তবে আমরা সবাই এতটাই খেতে ভালোবাসতাম, সবার ভাগে মাত্র এক টুকরো করেই হত।' হেসে উঠলেন তনুশ্রী। 


আরও পড়ুন: 'শ্যুটিং শেষে রোজ ১ ঘণ্টা ধরে ঋদ্ধিমাকে ফোন, গোটা ইউনিট রাগাত'


শ্যুটিংয়ের বাইরে কখনও ঘোরার সুযোগ হয়েছে? তনুশ্রী বললেন, 'আমি একদিনের ছুটি পেয়েছিলাম। সেদিন ডুয়ার্সের জঙ্গলে ঘুরে বেরিয়েছি। আর যেখানে শ্যুটিং করতাম সেই জায়গাটাই এত সুন্দর, আলাদা করে ঘুরতে যাওয়ার প্রয়োজনই হত না। শ্যুটিং শেষে আমরা সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করতাম, গান-বাজনা করতাম। অর্পিতাদি (অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়) আমার ঘরে চলে আসত বা আমি ওর। অনেকক্ষণ গল্প হত। সব মিলিয়ে শ্যুটিংয়ে চুটিয়ে মজা করেছি।'