কলকাতাঃ পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন বাংলার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। উল্লেখ্য,  ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে পরিচালক তরুণ মজুমদার। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এদিকে এদিন সকালে পরিচালকের মৃত্যুর খবর আসে। সকালে পরিচালকের মৃত্যুর খবর আসার পর থেকে অঝোরেই কেঁদে চলেছেন তিনি। পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে সন্ধ্যা রায় বলেছেন,' আমার আপন মানুষ, মৃত্যুর খবর আমি আশা করিনি।' 


আরও পড়ুন, শহর ছেড়ে উত্তম-সমিতদের দেশে পাড়ি তরুণ মজুমদারের, ফিরে দেখুন প্রিয় পরিচালকের ফ্রেমটা


সোমবার সকালেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। দেখা দিয়েছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যাও। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে জীবনাবসান হয় তরুণ মজুমদারের। এসএসকেএম থেকে টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে তরুণ মজুমদারের মরদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। 


পরিচালক তরুণ মজুমদারের ফ্রেমে ফুলেশ্বরী ছবিতে সমিত ভঞ্জের বিপরীতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সন্ধ্যা রায়। সেসময় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠেরহ যাদু, আর তরুণের পরিচালনায় সন্ধ্যা-সমিত সকলেরই মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।  প্রসঙ্গত, প্রিয় পরিচালকের অসুস্থতার খবর পেয়ে আগেই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। যদিও খুবই সঙ্কটজনক জটিল শারীরিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণ মজুমদারকে হাসপাতালে দেখতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএমে পরিচালক তরুণ মজুমদার। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এদিকে এদিন সকালে পরিচালকের মৃত্যুর খবর আসতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না বাংলার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।