কলকাতা: আরও অবনতি পরিচালক তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থার। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হল প্রবীণ পরিচালক তরুণ মজুমদারকে (Tarun Majumdar)। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া দেওয়া হল ভেন্টিলেশনে, খবর সূত্রের। কিডনির অবস্থাও ভাল না থাকায় ভেন্টিলেশনে রেখেই চলছে ডায়ালিসিস, খবর সূত্রের। 


দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক শারিরীক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রবীণ পরিচালক। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, অবস্থার অবনতি না হলেও, নতুন করে ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেই ওষুধই চলছিল তরুণ মজুমদারের। চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছিলেন প্রবীণ পরিচালক। এছাড়া, হৃদযন্ত্র ও কিডনির অবস্থা খারাপ হলেও, নতুন করে অবনতি হয়নি এতদিন। ভেন্টিলেটর নির্ভরশীলতা একইরকম ছিল তাঁর। কিন্তু আজ হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Bismillah: কৃষ্ণ-রাধা আর রুক্মিণীর আদলে কি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প শোনাবে 'বিসমিল্লা'?


গত ১৪ জুন তরুণ মজুমদারকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মেন ব্লকের সিসিইউ-তে। সেইদিনই নবান্নে যাওয়ার পথে, এসএসকেএমে গিয়ে চিকিত্সকদের কাছে প্রবীণ পরিচালকের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


বাংলা ছবির জগতের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিংবদন্তি পরিচালক তিনি। একের পর এক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আলো’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, কুহেলী, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাঁর ছবির সামাজিক বন্ধন ও সহজ ভাষার সাবলীলতা মন কেড়েছে আট থেকে আশির। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। ‘১৯৬২’-তে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান এই পরিচালক।