কলকাতা: তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তো কি হয়েছে.. এখনও তাঁরা বন্ধু। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন দেবলীনা দত্ত ( Debleena Dutt )। প্রতীকী অনশনে বসেছেন তিনি অনশন মঞ্চে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্ট করেই দেবলীনাকে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী তথাগত মুখোপাধ্যায় (Tathagata Mukherjee)। দেবলীনা সহ বাকি অনশনকারীদের শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
তথাগত লিখছেন, 'তোমাদের/তোদের চিনি,সহকর্মী হিসেবে,বন্ধু হিসেবে। মেরুদন্ডী মানুষ হিসেবে চিনলাম,এর চেয়ে বড় প্তাপ্তি আর কী হতে পারে। দেবলীনা, লড়াই জারী থাকুক বন্ধু। প্রাপ্তি ছাড়া, স্বার্থ ছাড়া, শুধুমাত্র ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ক' জন পারে। ব্যক্তিগতভাবে তোকে সবচেয়ে বেশি চিনি, তাই নিসংকোচে, নির্দ্বিধায় বলতে পারি গত তিন মাসের এই স্বার্থহীন লড়াই পরিচিত সবাইকে, আমাকে নিশ্চিতভাবে গর্বিত করেছে।
অনেকের দাবী,অনেক অভিনেতা,পরিচালক, পরিচিত মানুষদের এ লড়াই নাকি সস্তার ফুটেজের জন্য,জনপ্রিয়তার লোভে। বলার এটকুই এই পোড়া দেশে ফুটেজ পেতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে পোশাক নিরাবরণ করাই যথেষ্ট। উর্ফি জাভেদ, পুনম পান্ডে যে সমাজে সেলিব্রিটি, সে সমাজে শিরদাঁড়ার জন্য এরকম লক্ষ ফুটেজ ক্যামেরা বন্দী হোক। ঠিক ভুল,ব্যক্তিগত মতাদর্শের উর্দ্ধে গিয়ে তিন মাস ধরে দাঁতে দাঁত চিপে সমস্ত কাজ ফেলে,ভবিষ্যতের নিশ্চিন্ততার ভাবনা ফেলে,এ লড়াই যারা করছে তাদের সবাইকে নিয়ে সেলিব্রেশন হোক,সবাই সত্যিকারের সেলিব্রিটি হোক। পারলে আপনি বা আপনারাও ত্যাগের লড়াইতে যোগ দিন,জনপ্রিয় হোন,সেলিব্রিটি হোন,মানুষ হোন। আমি তো পারিনি,আমার মতোই অধিকাংশই পারেননি,দেখুন না আপনি পারেন কিনা।ভীড়ের মধ্যে বুক চিতিয়ে, শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে। বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত, তনিকা বসু, প্রান্তির বন্দোপাধ্যায়, চৈতি ঘোষাল.. তোমরা বাংলা সিনেমার কর্মী হিসেবে বাংলা সিনেমাকে গর্বিত করেছ।' (অপরিবর্তিত)।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের প্রতিবাদে প্রথমদিন থেকেই পথে নেমেছেন দেবলীনা। তিনি রাতদখল করেছেন, যোগ দিয়েছেন অনশনেও। বারে বারে সরব হয়েছেন প্রতিবাদে। তবে তাঁর পাশাপাশি কাজও করছেন দেবলীনা। আর সেই নিয়েই অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।