মুম্বই: বিতর্কের মাঝেই 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় ২০০টিরও বেশি স্ক্রিনে প্রকাশ করেছে। একদিকে বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি'(The Kerala Story Banned) । সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story Banned) ছবিটি ব্যান করে দেবার প্রতিবাদে, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শহরে সিনেমাহলগুলিতে বিক্ষোভ চলছে। আর এমনই এক বিতর্কিত পরিস্থিতির মাঝে বিদেশে অন্য ছবি।
এই ছবির পরিচালক একটি ভাচুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে, আমেরিকান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন যে, এই সিনেমাটি সিনেমার সৃজনশীল সীমানার বাইরে একটি মিশন। তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি আন্দোলন, যা বিশ্বজুড়ে জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্য়েই 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। পাশাপাশি এনিয়ে বিরোধীতা করেছেন শাবানা আজমি। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরদিন থেকেই দর্শকদের তুমুল বিক্ষোভ দেখা যায় শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির দিকেও মোড় নেয় উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ায়। এমনকি শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহের সেই ঘটনার ভিডিও আপলোড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন অমিত মালব্য। ট্যুইটে তিনি বলেছিলেন, 'নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মানুষকে সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্যও লাঞ্চিত হতে হচ্ছে।'
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরদিন থেকেই শহর থেকে হোর্ডিং খুলে নেওয়া হয়। সিনেমাহলগুলিতে আর দেখানো হচ্ছে না। এদিকে অনেকেই আগাম অনলাইনে টিকিট কেটে বসে রয়েছেন। এদিন 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story Banned) দেখতে সেই মতোই নিষিদ্ধ ঘোষণার পরদিনই বেলঘড়িয়া রূপমন্দির সিনেমা হলের দিকে রওনা হয়েছিলেন অনেকেই। এরপরেই ঘটনা মোড় নেয়। শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। বিক্ষোভ দেখায় দর্শক। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সিনেমা দেখতে না পারায়, পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত হয় উত্তেজিত দর্শকদের সঙ্গে সেদিন।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
'দ্য কেরালা স্টোরি' ঘোষণার দিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, 'বিকৃত তথ্য দিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। কেরলে সিপিএম সরকার চুপ কেন? বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ আছে। বিরোধী দলকে বুলডোজ করার অধিকার কে দিয়েছে? শাসক দলের শান্তি বজায় রাখাই কর্তব্য। কিন্তু মণিপুরের শাসক দলই অশান্তি তৈরি করেছে। বাংলায় কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।'