কলকাতা: আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)। নানা সময়ে যখন দেশে ধর্ম কেন্দ্রিক সমস্যা তৈরি হয়, তখন তাঁর লেখা 'মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান' মনে করিয়ে দেয় হিন্দু-মুসলমাল ভাই-ভাই। আজ সেই কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে বিশেষ ভিডিও পোস্ট করলেন টলিউড অভিনেতা জিৎ (Jeet)। আর তাতে উচ্ছ্বসিত হয়ে কমেন্ট করেছেন আর এক অভিনেতা আবীর।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে জিতের পোস্ট-
এদিন বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি তাঁর অভিনীত ছবি 'রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার'-এর একটি দৃশ্যের। যেখানে জিৎকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'বলো বীর বলো উন্নত মম শির' কবিতাটি বলতে শোনা যাচ্ছে। ছবি পোস্ট করে বিদ্রোহী কবির উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন জিৎ। আর অভিনেতার পোস্টে কমেন্টে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আর এক অভিনেতা আবীর। প্রসঙ্গত, 'রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার' ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন জিৎ, আবীর, প্রিয়ঙ্কা , সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায় খরাজ মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, শ্রদ্ধা দাস প্রমুখ অভিনেতাদের।
আরও পড়ুন - Top Entertainment News Today: বলি থেকে টলি, ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা, একনজরে রুপোলি জগতের সেরা খবর
বর্ধমানের চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন নজরুল। ফকির আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেদা খাতুনের পর পর চার পুত্রের মৃত্যুর পরে নজরুলের যখন জন্ম হল, তাঁর নাম রাখা হল দুখু মিয়াঁ। মাত্র আট বছর বয়সেই বাবাকে হারান। স্কুলে পড়াকালীনই তিনি গল্প, কবিতা লিখতে শুরু করেন। স্কুলের পড়া শেষ না করেই কাজী নজরুল ইসলাম ৪৯ নম্বর বাঙালি রেজিমেণ্টে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়ে মেসোপটেমিয়ায় যান ১৯১৭ সালে। সেখানে বাঙালি পল্টনের মুসলমান সেনাদের তদারকির কাজে এক জন পাঞ্জাবি মৌলবী যুক্ত ছিলেন। তাঁর মুখে হাফিজের কবিতা শুনেই মুগ্ধ নজরুল মৌলবী সাহেবের কাছে ফারসি শিখতে থাকেন। ১৯১৯ সালে দেশে ফেরেন নজরুল। সেই সময় কলকাতার শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের রমাকান্ত স্ট্রিটের বোর্ডিং হাউসে আশ্রয় নেন তিনি। কিন্তু তিনি মুসলমান জানতে পেরে সেখানকার পরিচারিকা তাঁর বাসন ধুতে অস্বীকার করেন। তার পর কলেজ স্ট্রিটে মুজ়ফ্ফর আহমেদের আস্তানায় আশ্রয় নেন। ওই সময় সওগাত, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা, প্রবাসীতে লিখে কলকাতার সাহিত্যজগতে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। ১৯২২ সালে ‘বিজলী’ পত্রিকায় তাঁর লেখা ‘বিদ্রোহী’ কবিতা সাড়া ফেলে দেয়।