কলকাতা: এই গল্পের কেন্দ্রবিন্দু একটা স্মার্টফোন। ৫৮ বছরের ভুবন রায় কাজ করেন এক অফিসে। বিভিন্ন বিষয়ে বেশ গোঁড়া এই ভুবনবাবু। ধরে রাখতে ভালোবাসেন পুরনো আদব কায়দা। অফিসে যান ধোপদূরস্ত ধুতি-পাঞ্জাবিতে। কাজ করেন পুরনো টাইপ রাইটারে আর তাঁর বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হল রেডিও। কিন্তু এহেন ভুবন রায়ের জীবনে যদি হঠাৎ আসে স্মার্ট ফোন তাহলে? ঠিক এই গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন ছবি ভুবনবাবুর স্মার্টফোন (Bhuban Roy)।


সদ্যই মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমার টিজার। সেখানে দেখা যাচ্ছে এক মজায় মোড়া বাস্তব গল্প। স্মার্টফোন নিয়ে একটু বেশি বয়সের মানুষেরা অনেকসময়েই কার্যত বিপদে পড়েন। এই উদাহরণ রয়েছে আমাদের ঘরেই। কাজেই একেবারে বাস্তবের গল্পকেই পর্দায় দেখতে পাবেন অনেকে।  ২ সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পাবে এই ছবি।


ছবিটির পরিচালনা করছেন প্রণবেশ চন্দ্র ও শান্তনু বসু (Pranabesh Chandra and Santanu Basu)। প্রযোজনা সংস্থার নাম চন্দ্রকোণ (Chandracon)। ছবিটি নিবেদন করছে মোজোপ্লেক্স (Mojoplex)। ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করছেন চিন্তা মুখোপাধ্যায় (Chinta Mukhopadhyay)। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Bandyopadhyay), খরাজ মুখোপাধ্যায় (Kharaj Mukhopadhyay), ইশান মজুমদার (Ishan Mazumder), সিদ্ধার্থ ঘোষ (Siddhartha Ghosh), চন্দ্রনীভ মুখোপাধ্যায় (Chandraniv Mukhopadhyay), পত্রালী চট্টোপাধ্যায় (Patrali Chattopadhyay), চন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় (Chanda Chattopadhyay), দেবরঞ্জন নাগ (Debranjan Nag) ও সন্দীপ দে (Sandip Dey)।


ছবির নামভূমিকায় অভিনয় করছেন চিন্তা মুখোপাধ্যায়। তাঁর জীবন বদলে দেয় তাঁর অফিসে নতুন আসা অল্পবয়সী কর্মী রাতুল সরকার। ভুবনবাবুকে একটি মোবাইল কিনতে বাধ্য করে সে। নাহলে যে চাকরিও হাতারে পারেন ভুবনবাবু, সেই ভয়ও দেখানো হয়। কিন্তু জীবন সহজে হাতের মুঠোয় এনে দেওয়া সেই মুঠোফোন, ভুবনবাবুর জীবন সহজ করার ফলে বয়ে আনে এক রাশ অশান্তি। আর সেই অশান্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায় যখন ভুবনবাবুর বাড়িতে আসে এক চোর। তার পরে? এর পরের গল্প জানা যাবে বড়পর্দায়। মজার মোড়কের এই ছবির মুক্তির দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি।







 

ছবিতে আর্ট ডিরেকটর হিসেবে কাজ করেচছেন উজ্জ্বল সরকার। কালারিস্ট পিভি মণি কুমার। স্টাইলিং করেছেন শাশ্বতী এবং মন্দ্রিতা, মুম্বইয়ের ভিএফএক্স স্টুডিয়োয় কাজ হয়েছে। ছবির নেপথ্য সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন দিশারী চক্রবর্তী, গান লিখেছেন প্রণবেশ চন্দ্র, গান গেয়েছেন উপল সেনগুপ্ত।  ছবির সম্পাদনা প্রণবেশের। গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন শান্তনু বসু।