কলকাতা: বড়পর্দায় নয়, তিনি ওয়েব সিরিজের ফেলুদা। তবে তার জন্য বিন্দুমাত্র আফশোস নেই তাঁর। 'ওয়েব সিরিজ সেই আফশোস পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে দিয়েছে।' কথাটা বলতে বলতে হাসিতে ভরে উঠল টোটা রায়চৌধুরীর (Tota Roy Chowdhury) মুখ। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি'-র স্ট্রিমিং হবে জুন মাসে। 'হইচই' (Hoichoi) -এর ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ। এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ফেলুদাকে নিয়ে প্রাণখোলা আড্ডা দিলেন টোটা।
'ছিন্নমস্তার অভিশাপ'-এ প্রশংসা আর সমালোচনা দুইই পেয়েছিলেন টোটা। 'দার্জিলিং জমজমাট'-এর সময় সেগুলো কীভাবে কাজে লাগালেন তিনি? টোটা বললেন, 'সঠিক সমালোচনা আমার কাছে উপহার বলে মনে হয়। সবসময় মনে হয়, সেগুলো মাথায় রাখলে নিজেকে আরও ভালো করতে সুবিধা হবে। আমরা, অভিনেতারা নিজেদের ভুলগুলো বুঝি। তাই যেটা সৎ সমালোচনা সেটা আমরা ধরতে পারি আর সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনাও করি। তবে অযথা সমালোচনা অবান্তর। সমস্ত সমালোচনাই মাথায় রেখে গোটা টিম, বিশেষ করে আমি দার্জিলিং জমজমাট-এ কাজ করেছি। দর্শকদের বলব কী পার্থক্য লক্ষ্য করলেন, দেখে অবশ্যই জানাবেন। অপেক্ষায় থাকব।'
ফেলুদা যতটা বড়দের ততটা ছোটদেরও। ছোটদের থেকে পাওয়া সেরা প্রতিক্রিয়া কী? হাসিতে ভরে গেল টোটার মুখ। বললেন, 'গতবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছি। নন্দনে ঢুকছি হঠাৎ পিছন থেকে চিৎকার.. ফেলুদা.. ফেলুদা একটা ছবি তুলব। প্রথমটা আমি বুঝতে পারিনি। আমায় ডাকছে ফেলুদা বলে! ঘুরে দেখলাম সবার বয়স ১৮ থেকে ২১-এর মধ্যে। বুঝলাম, এই বয়সের ছেলেমেয়েরা আমায় ফেলুদা হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে সৃজিতকে ফোন করে বললাম.. জানো আজকে কী হয়েছে? ও শুনে খুশি হয়ে বলল, এই গ্রুপটা তোমায় ফেলুদা হিসেবে মেনে নিয়েছে এটা আমাদের কাছে একটা বড় প্রাপ্তি।'
এইগুলো কী 'দার্জিলিং জমজমাট'-এর সাহসের ভিত্তি তৈরি করেছে। টোটা বললেন, 'অবশ্যই। সাহস এবং ভরসার ভিত্তি।'