কলকাতা: সেফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ওপর হামলার ঘটনায় বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন সেফ। তিনি জানিয়েছেন, সেই রাতে তিনি তাঁর ছোট ছেলে জেহ-র কান্না শুনতে পান। তখনই তিনি ছুটে যান এবং সেখানেই তিনি দেখতে পান আততায়ীকে। কিন্তু সেফের বয়ান দেওয়ার আগেই, এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক গুঞ্জন। আর সেই গুঞ্জনের সবটাই করিনা কপূর খানকে (Kareena Kapoor Khan) নিয়ে।


যেদিন সেফের ওপর হামলা হয়েছিল, তার আগের দিন পার্টি করছিলেন করিনা কপূর। অনেকটা রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। অনেকেই আবার বলছিলেন, তিনি নাকি রাতে বাড়িই ফেরেননি। অনেকে আবার বলছেন, সেই রাতে মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন করিনা। সেই কারণেই তিনি স্বামীকে সাহায্য করতে উঠে আসতে পারেননি। শুনতে পাননি জেহ-র কান্নাও। আর এবার, এই ঘটনায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। 


তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্যই একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'দোষারোপ করার সময় স্ত্রী-রা সবসময়েই প্রথমে থাকে। একজন অভিনেতা যখন ছুরিকাঘাতে আহত হন, তখন সবাই তাঁর স্ত্রীকেই দোষারোপ করতে আসে।' এরপরে তিনি বেশ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন, যেখানে স্বামীর খারাপ কিছু হলেই স্ত্রীয়ের ওপরেই দোষারোপ করা হয়। উঠে এসেছে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার প্রসঙ্গও। যেহেতু কোনও প্রমাণ নেই, সেই কারণে এই বোকা বোকা তত্ত্বগুলোকেও থামানো যায়নি। যখন সেফ হাসপাতালে যান, তখন নাকি করিনা মদ্যপ ছিলেন, সেই কারণেই তিনি যেতে পারেননি হাসপাতলে। সেই কারণেই নাকি সেফের বড় ছেলে আর তাঁর ছেলে তৈমুর নিয়ে গিয়েছিল অভিনেতাকে হাসপাতালে। টুইঙ্কল খান্না  মনে করেন, স্ত্রীকে সবসময়েই দোষারোপ করা হয় কিছু না ভেবেই। অনেক সময়েই সেটা চুপ করেই এড়িয়ে যান স্ত্রীরা, কারণ সেটা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। 


অন্যদিকে তদন্তের ক্ষেত্রে, মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানানো হচ্ছে, সেফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় ধৃতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা হয়ে আসা এখনও বাকি রয়েছে। এখনও অন্তিম রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এর ফলে যা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিতান্তই গুজব। এখনও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখছে ফরেন্সিক টিম। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্র সিআইডি-র কোনও যোগ নেই। বিষয়টি প্রথম থেকে মুম্বই পুলিশের হাতে ছিল, এখনও তাই রয়েছে। ফলে এই ঘটনায় এখন অপেক্ষা অন্তিম রিপোর্ট আসার। 


 


আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: সেফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় নদীয়া থেকে সন্দেহভাজনের হদিশ পেল মুম্বই পুলিশ