‘আমার পোশাক নয়, কাজ নিয়ে লিখুন’, মিডিয়াকে আর্জি ইউনিসেফ-এর গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার

Continues below advertisement
নয়াদিল্লি:  ইউনিসেফ-এর গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। এরমধ্যে নতুনত্বের কিছু নেই। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সংবাদমাধ্যমে ইউনিসেফ-এর কাজের জন্যে প্রিয়ঙ্কা কী করেন, বা যেসমস্ত জায়গায় যান, সেখানকার মানুষের অবস্থা এই নিয়ে কোনও খবরই করে না। তাদের মূল মাথাব্যথার বিষয় প্রিয়ঙ্কা কী পোশাক পরলেন। আর এখানেই ঘোরতর আপত্তি প্রিয়ঙ্কার। তাঁর মিডিয়ার কাছে আর্জি, ইউনিসেফ-এর হয়ে তিনি ঠিক কী ধরনের কাজ করেন, এব্যাপারে বিশ্বকে সচেতন করার দায়িত্ব নিক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু মিডিয়া বাস্তবে তিনি কী পোশাক পরে সেখানে যাচ্ছেন সেপ্রসঙ্গেই বেশি খবর করেন। সংবাদমাধ্যমকে এবার এই ভাবনা বদলের আর্জি জানালেন পিগি চপস। রবিবারই এক সাক্ষাত্কারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, তাঁর জীবনে মহাত্মা গাঁধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার বিশাল প্রভাব রয়েছে। কারণ, তাঁরা শিশুদের ভালবাসতেন। সম্প্রতি ইউনিসেফ-এর হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ এবং জিম্বাবোয়ের আশপাশের অঞ্চলে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে গিয়ে অভিনেত্রীর উপলব্ধি, গাঁধী এবং ম্যান্ডেলা দুজনের যৌথ চেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের মধ্যে এক গভীর মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। সেই মেলবন্ধনকেই তিনি আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এই দুই ব্যক্তিই বুঝেছিলেন শিশুরাই সমাজের আসল ভীত। তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই আগামী দিনে এক সুন্দর সুস্থ সমাজ তৈরি হবে। তাদের অবহেলা করে কখনওই সুস্থ সমাজ তৈরি সম্ভব নয়। এরপরই তিনি বলেন, শিশুদের ওপর জিম্বাবোয়ে এবং সোওয়েটা এলাকায় যেভাবে তাঁদের নিকট আত্মীয়রাই যৌন হয়রানি চালায়, সেই বিষয়ের ওপর মূলত সংবাদমাধ্যমের আলোকপাত করা উচিত্। সেই সমস্ত আক্রান্ত শিশুদের বাঁচাতে গতকাল ইউনিসেফ আয়োজিত এক সমাবেশে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রায় ৬০০, ০০০ র‍্যান্ড তুলে দিয়েছেন। তারপরই তিনি বলেন, তিনি কী পোশাক পরে কাজ করছেন তার চেয়ে বেশি মিডিয়ার প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন এই সমস্ত ইস্যুকে। দেখব সেখানকারই কিছু ছবি
 
 
 
সমস্ত ছবি ও ভিডিও সৌজন্যে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola