কলকাতা: টিনসেল টাউনকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ, জল্পনার শেষ নেই। এখানে রোজ যেমন তৈরি হয় নতুন নতুন গল্প.. তেমনই কখনও কখনও প্রকাশ্যে আসে অভিনেতা অভিনেত্রীদের অচেনা অজানা সব দিক। কারও রয়েছে শ্যুটিংয়ে দেরি করে আসার অভিজ্ঞতা তো কেউ পছন্দ করেন রাতে শ্যুটিং করতে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, গোবিন্দা (Govinda)-এর সম্পর্কে এমনই কিছু অজানা তথ্য, অভিনেতার অদ্ভূত সব অভ্যাসের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেতা আনন্দ বলরাজ (Anand Balraj)। 


গোবিন্দার সঙ্গে একাধিক কাজ করেছেন বলরাজ। অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে বলরাজ জানান, গোবিন্দা যখনই সেটে আসুন না কেন, তিনি প্রথমে কিছুটা সময় ঘুমিয়ে কাটান। সকালে, রাতে বা বিকেলে নয়, যে কোনও সময় শ্যুটিং ফ্লোরে এসে কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেওয়া গোবিন্দার অভ্যাস। সেই ঘুম ভাঙলে তারপরে তিনি যান মেক আপে। সবাই তখন কাজ শুরু করে। এই অভ্যাসের কথা জানে তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরাই। যদিও এই সাক্ষাৎকারে বলরাজ জানান, গোবিন্দা অভিনয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত নাচ করেন। আর কাজের ব্যাপারেও তিনি ভীষণ প্রফেশনাল। গোবিন্দার প্রতিভা নিয়ে কখনও কোনও প্রশ্ন তোলেননি অভিনেতা। 


এখানেই শেষ নয়, গোবিন্দার অভ্যাস রয়েছে ফ্লোরে দেরি করে আসারও। এ নিয়ে একবার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন রবিনা টন্ডন (Ravina Tandon)-ও। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'ফ্লোরে গোবিন্দার সঙ্গে আমার কলটাইম ছিল সকাল ৯টায়। পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানতাম, ও ফ্লোরে আসবে আড়াইটে থেকে ৩টে। সেটা জেনেও আমি সময়ে ফ্লোরে পৌঁছে যাই, দেরি করি না। ফ্লোরে পৌঁছে আমি মেকআপ করে নিই, পোশাক পরে একেবারে তৈরি হয়ে যাই। তারপরে মেকআপ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এটাই আমি করতাম নিয়মিত।'


পরদেশ বা খলনায়কের মতো সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন বলরাজ। এখনও তিনি একাধিক ছবিতে চরিত্রাভিনেতার অভিনয় করে থাকেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সলমনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন বলরাজ। তিনি জানান, সলমন সাধারণত রাতে শ্যুটিং করতে পছন্দ করেন। 'প্রেম রতন ধন পায়ো' ছবিতে কাজ করার সময় বলরাজ দেখেছিলেন, যে দৃশ্যগুলো সকালে শ্যুটিং করা উচিত, সেগুলোও রাতে শ্যুট করেছিলেন সলমন। শুধু তাই নয়, সলমনের অভ্যাস রয়েছে শ্যুটিং শেষের পরে নিয়মিত ছবির অন্যান্য সদস্য, অভিনেতা ও বাকি ক্রুয়েদের সঙ্গে সময় কাটানো। রাত দুটো বা তিনটেয় শ্যুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সবাই যখন বাড়ি যেতেন, সলমন বসতেন আড্ডা দিতে। সবাইকে থাকতেও বলতেন। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্তও ফ্লোরে কাটাতেন তিনি।