কলকাতা: পোড়া বাড়িতে শ্যুটিং। কলাকুশলীদের বুক ঢিপঢিপ। হয় বাড়ি ভেঙে পড়বে, না হয় কেউ আসবে! কিন্তু কে? ভূত? 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র শ্যুটিং সেট সেই করিমপুরের রাজবাড়িতে লুকিয়ে কত অজানা ঘটনার কথা। তার কোনোটায় জড়িয়ে ভূতের ভয়, কোনোটায় আবার বাড়ি ভেঙে পড়ার। আর ছবিতে, যিনি এই বল্লভপুরের রাজবাড়ির সবচেয়ে প্রবীণ বাসিন্দা, তাঁর কাছ থেকেই শোনা গেল শ্যুটিং সেটের একগুচ্ছ অজানা গল্প। এবিপি লাইভকে সেই গল্প শোনালেন অভিনেতা শ্যামল চক্রবর্তী, নাকি পর্দার 'মনোহরদা' বললে বেশি ভাল বুঝতে পারবেন পাঠক পাঠিকারা?


পুরুলিয়ার করিমপুরের রাজবাড়িতে এই ছবির শ্যুটিং হয়েছিল। সেই পোড়ো বাড়িতে একটি শৌচালয়কে ঘিরে হঠাৎ দানা বাঁধল রহস্য! ঠিক কী হয়েছিল? শ্যামল বলছেন, 'একটা শৌচালয়ের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল অনেকক্ষণ থেকে। আমরা প্রত্যেকেই ভাবছি, কেউ হয়তো ভিতরে রয়েছে। অনেকটা সময় পেরিয়ে যেতে টনক নড়ল সবার। ইউনিটের সবাই তো বাইরে, তাহলে ভিতরে কে? অনেক ধাক্কা.. ডাকাডাকি.. ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া গেল না। শেষমেষ দুটি ছেলে পাশ দিয়ে উঠে অনেক কষ্টে শৌচালয়ের ভিতর উঁকি দিয়েই অবাক! ভিতরে তো কেউ নেই! তাহলে দরজা বন্ধ করল কে? অনেক কষ্টে পাঁচিল ডিঙিয়ে ঢুকে সেই দরজা খোলা হল। তারপর সবাই শৌচালয় ব্যবহার করতে পারল বটে, কিন্তু রহস্যের জট কাটল না।'


আরও পড়ুন: Ballabhpurer Rupkotha Exclusive: 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র সেটে ছিল ভূতের ঘর, সরানো যায়নি রহস্যময় সিন্দুক!                                                                                      


এ তো আদ্যপান্ত ভৌতিক অভিজ্ঞতা! হাসতে হাসতে শ্যামল বললেন, 'শেষমেষ সেই রহস্যের সমাধান হল। শৌচালয়ের অন্যদিকে আরও একটা দরজা ছিল, সেটা খেয়াল করেনি কেউ। সেই দরজা দিয়ে পিছনের একটা পরিত্যক্ত ঘর হয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া যায়। সেই বাড়িতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরই একজন শৌচালয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করেছিলেন। তারপরে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান। সামনের দরজাটা যে খুলতে হবে, ভুলে গিয়েছিলেন সেটাই। ব্যাস.. রহস্য সমাধান।'