পদ্মাবতীকে ছাড়পত্র দেওয়ায় সেন্সর বোর্ডের সমালোচনা মেবার রাজপরিবারের
Web Desk, ABP Ananda | 31 Dec 2017 06:18 PM (IST)
ছবি সৌজন্যে ট্যুইটার
মেবার: দীর্ঘদিন ধরে চলা বিতর্কের পর নাম সহ বদল সহ কয়েকটি পরিবর্তনের শর্তে সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি পদ্মাবতীকে ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়েছে সেন্সর বোর্ড। অনেকেই এই খবরে খুশি হলেও, মেবার রাজপরিবার অসন্তুষ্ট। এই পরিবারের সদস্য বিশ্বরাজ সিংহ সেন্সর বোর্ডের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘সিবিএফসি আমাদের এই ছবি পর্যালোচনা করার জন্য গঠিত প্যানেলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। আমাদের কয়েকটি প্রশ্ন ছিল। কিন্তু হঠাৎ আমরা জানতে পারলাম, আমাদের সম্মতি না নিয়েই অন্যরা ছবিটি দেখে শংসাপত্র দিয়েছেন। সিবিএফসি-র এই আচরণ অত্যন্ত অপেশাদারী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।’ গতকাল সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন জোশী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ছবিটিকে ইউএ সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাম বদলে পদ্মাবৎ করা সহ পাঁচটি বিষয়ে পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও দৃশ্য বাদ দিতে বলা হয়নি। শুধু স্পষ্ট করে দর্শকদের উদ্দেশে জানাতে বলা হয়েছে, এই ছবিতে সতীদাহ প্রথাকে গৌরবান্বিত করা হয়নি। ঘুমর গানের দৃশ্যেও কিছু বদলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রযোজক ও পরিচালকরা এই বদলের বিষয়ে রাজি হয়েছেন।’ মেবার রাজপরিবার অবশ্য সেন্সর বোর্ডের এই যুক্তি মানতে নারাজ। প্রসূনকে লেখা চিঠিতে বিশ্বরাজ বলেছেন, ‘পদ্মাবতী নাম বদলে পদ্মাবত করলেই প্রকৃত ঘটনা বদলে যাবে না। ছবিটিতে বাস্তব জায়গা, আমার পূর্বপুরুষ সহ ইতিহাসের আরও অনেকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলি বদল করা হচ্ছে না।’ বিশ্বরাজের আরও অভিযোগ, ‘ঐতিহাসিক চরিত্র এবং বর্তমান সময়ের পরিবারগুলিকে নিয়ে তৈরি কাল্পনিক ছবিগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে সিবিএফসি। আজ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, রাজপরিবারের এক সদস্য ছবিটি দেখে মতামত জানিয়েছেন। কিন্তু সেই সদস্য আমি বা পরিবারের প্রধান মহারানা মহেন্দ্র সিংহজি মেবার নন।’