কলকাতা: তাঁদের বিয়েটা করেছিল স্বপ্নের মত, ডুয়ার্সের পাহাড়ের কোলে। আর বিয়ের আগের গল্প? ততটাই স্বপ্নের মত আর হঠাৎ করে। একসঙ্গে ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন, কিন্তু তখন প্রেমে পড়েননি। কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা করেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঙ্গীত তিওয়ারি (Sangit Tiwari)। 'এখনই', উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। ভালোবাসার দিনে প্রেমের স্মৃতি ফিরে দেখলেন সঞ্চারী মন্ডল (Sanchari Mondal)।


'অপুর সংসার'-এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন সঙ্গীত-সঞ্চারী। প্রেমের শুরু কী তখনই? সঞ্চারী বলছেন, 'অনেকেই বলেন, অপুর সংসার থেকে আমি আর সঙ্গীত প্রেম করছি, কিন্তু সত্যিই একেবারেই সেটা নয়। ওখানে কাজ করার সময় আমাদের আলাপ ছিল। সঙ্গীতকে দেখতাম ও ভীষণ গুছিয়ে, দায়িত্ব নিয়ে কাজ করত। কাজের দিক থেকে ওর ওপর ভরসা করতাম। আর হ্যাঁ, মানুষ হিসেবে ওকে খুব সম্মান করতাম। কাজের প্রতি সঙ্গীত ভীষণ সৎ। দ্বিতীয় প্রোজেক্টে দেখা হতে আমায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সঙ্গীত। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হই। ২ সপ্তাহ পরে আমাদের এনগেজমেন্ট হয়।'


আরও পড়ুন: Promita Rudrajit: প্রথম বিবাহবার্ষিকীর উপহার রিল লাইফ রোম্যান্সের সুযোগ, বলছেন প্রমিতা-রুদ্রজিৎ


প্রেমে পড়লেন, বাঁধা পড়লেন সাত পাকে। কোনও বিশেষ ঘটনা মনে পড়ে? সঞ্চারী বললেন, 'আমার সমুদ্র খুব পছন্দ। খুব ইচ্ছা ছিল, জীবনে অন্তত একবার সমুদ্রের ধারে জন্মদিন পালন করব। আমি জীবনকে উদযাপন করতে ভালোবাসি। বড় হয়ে নিজের জন্মদিনের মোমবাতি নিজেই জ্বালাতাম। বিয়ের পর আমার প্রথম জন্মদিন সঙ্গীত পালন করেছিল সমুদ্রের ধারে। জলে পা ডুবিয়ে কেক কেটেছিলাম। জানি না সঙ্গীত কি করে জেনেছিল আমার স্বপ্নের কথা।'


আর বিয়ের আগে? সঞ্চরী স্বপ্নে ভেসে বললেন, 'একে অপরের ওপর অনুভূতি বোঝার পর আমার আর সঙ্গীতের মধ্যে এখটা সাময়িক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আমি শান্তিনিকেতন ঘুরতে গিয়েছি। খোয়াইয়ের হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছি। খুব মনে হচ্ছে, যদি সঙ্গীত থাকত। সঙ্গীত তখন আমার সব জায়গা থেকে ব্লকড। হঠাৎ পিছন থেকে ডাক, 'সঞ্চারী, চা খাবে?' ফিরে দেখি সঙ্গীত। আমায় একবার দেখার জন্য শান্তিনিকেতন ছুটে এসেছিল।'


বছর ঘুরেই সঙ্গীতের প্রেমে হাবুডুবু সঞ্চারী। বললেন, 'আমার মা সঙ্গীতকে ভীষণ ভালোবাসেন। আমার অভিনয়ে আসার পিছনে মায়ের অবদান প্রচুর। ওঁর পছন্দের গুরুত্ব রয়েছে সঞ্চারীর কাছে। আমি ছোট থেকে ভাবতাম, লেখকের প্রেমে পড়লে কারও কখনও মৃত্যু হয় না। সঙ্গীত দুর্দান্ত লেখে। সালসা করতে গেলে সঙ্গীর ওপর নির্ভর করে শরীরটা ছেড়ে দিতে হয়। সঙ্গীত হল জীবনের সালসা করার সঙ্গী।'