আসানসোল: পৌরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি চলাকালীনই জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) তৃণমূলে (TMC) ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জল্পনা শোনা গিয়েছিল। তা কানে যাওয়া মাত্রই রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতে নেমে পড়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমে আসানসোলে (Asansol Municipal Election 2022) জিতেন্দ্র-বিরোধী হিসেবে পরিচিত সেই অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ই (Amarnath Chatterjee) জয়ী হলেন। বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ তাঁকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসানসোল পৌরসভার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হলেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আসানসোলে বিজেপি-র (BJP) সাগঠনিক ভিত নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল দলের অন্দরেই। সোমবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর তার ইঙ্গিতও মেলে। সকাল থেকে সিংহবাগ আসনেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডেও জয়ী হন দলের প্রার্থী ঊষা কুমারী রজক।
তবে এরমধ্যেই স্ত্রী চৈতালী তিওয়ারি জয়ী হয়েছেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে। কিন্তু সার্বিক ভাবে সেখানে বিজেপি পিছিয়ে রয়েছে দৌড়ে। সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে জিতেন্দ্র যদিও শাসকদলের ঘাড়েই দোষ ঠেলেন। তিনি বলেন, ‘‘আসানসোলের মানুষ যা চেয়েছিলেন, আজকের ফলাফলে তার প্রতিফলন হচ্ছে না। মানুষকে ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি। ভোট লুঠ করা হয়েছে। এক একটি বুথে ১৫০-২০০ বহিরাগত অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে ঘুরেছে। বার বার বাল সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।’’
আরও পড়ুন: Siliguri Municipal Poll Result 2022: ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২০০০ ভোটে এগিয়ে গৌতম দেব, শুরু আবির খেলা
আসানসোলে সবুজ ঝড়ের সম্ভাবনার পিছনেও কমিশনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘কমিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। রক্ষকই যেখানে ভক্ষক, সেখানে কী করবেন বলুন! কমিশন, তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে। ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশে থাকার চেষ্টা করব সবরকম ভাবে। বাকিটা কলকাতার বিজেপি নেতৃত্ব দেখবেন।’’
তৃণমূলে জিতেন্দ্রর প্রত্যাবর্তনে বাধা দেওয়ার কথা জানতে চাইলে অমরনাথ বলেন, ‘‘উনি ফিরলে ফের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন। সেই পাথরটিকেই সরাতে চেয়েছিলাম। তাই আটকানোর চেষ্টা করেছিলাম।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে জিতেন্দ্র অবশ্যই ফিরতে পারেন, কিন্তু জিতেন্দ্রর ফেরাকে যে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সমর্থন করেন না, তা সাফ জানিয়ে দেন অমরনাথ।