কলকাতা: বলিউডের অভিনেতাদের নিয়ে যেমন প্রশংসা শোনা যায়, তেমন তাঁদের খামখেয়ালিপনার কথাও শোনা যায় হামেশাই। কখনও সলমন খান (Salman Khan) নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেন, তো কখনও আবার বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে গ্রেফতার পর্যন্ত হয়েছেন বলিউডের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মানুষ। আর এবার, বিতর্কে জড়ালেন বরুণ ধবন (Varun Dhawan)। জানা যাচ্ছে, তাঁর গাড়িচালক নাকি এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়। এখানেই শেষ নয়, ওই পথচারীর সঙ্গে নাকি বিবাদে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েন বরুণ ধবনের গাড়িচালক। শেষে পরিস্থিতি সামাল দেন বরুণ। 

Continues below advertisement

জানা যাচ্ছে, বরুণ ধবন এদিন সকালে তাঁর গাড়ি করে জিমে যাচ্ছিলেন। গাড়ির মধ্যে বসেছিলেন বরুণ ধবন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বরুণের গাড়িচালক। হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে এসে তিনি এক পথচারীকে ধাক্কা মারেন। এখানেই শেষ নয়, এরপরে ওই পথচারী ঘটনার প্রতিবাদ করলে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বরুণ ধবনের গাড়িচালক। জড়িয়ে পড়েন সমস্যায়। দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা গুরুতর হচ্ছে বুঝে, গাড়ি থেকে নমে আসেন বরুণ ধবন। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তবে বরুণ ধবনের কথাবার্তায় ঝামেলা মিটে যায়। পুলিশ বরুণ ধবনের গাড়িটি ছেড়ে দেয়। সবাই অবশ্য প্রশংসা করেছেন বরুণ ধবনের এই বুদ্ধিমত্তার। অন্যদিকে, বরুণ যে তাঁর গাড়িচালককে সমর্থন না করে গোটা ঘটনাটাকেই মেটানোর চেষ্টা করেছেন। যদিও ওই পথচারীর বক্তব্য অনুযায়ী, বরুণ ধবনের গাড়িচালক, গাড়িটা কার্যত তাঁর গায়ের ওপরেই তুলে দিতে যাচ্ছিলেন। কোনোমতে তিনি নিজেকে বাঁচিয়ে নেন।

চলতি বছরের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেবিবাম্পের ছবি শেয়ার করে নিয়েছিলেন বরুণ ও নাতাশা। তখনই জানা গিয়েছিল, তাঁদের ঘরে সন্তান আসতে চলেছে। অবশেষে জুন মাসে বরুণ নাতাশার পরিবারে আসে নতুন সদস্য। তাঁদের পরিবারে খুদে সদস্যের আসার খবর প্রথম জানিয়েছিলেন বাবা ডেভিড ধবন। ২০২১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বরুণ ও নাতাশা। স্কুলজীবন থেকেই একে অপরকে পছন্দ করতেন বরুণ ও নাতাশা। পরে তাঁরা পারিবারিকভাবে আরও কাছাকাছি আসেন। একুশ সালের জানুয়ারি মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বরুণ এবং নাতাশা। যদিও সাধামাটাভাবেই বিয়ে সারেন এই দম্পতি। বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েও কোনও আড়ম্বর করতে চাননি তাঁরা। যার জন্য, সেই খবর প্রথম দিকে চাপা ছিল।  বিয়ের তিন বছরের ঠিক পরপরই এবার তাঁদের কোল আলো করে আসে কন্যা সন্তান। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই সন্তানের নাম। লারা নামের অর্থ ক্ষেত্রবিশেষে লাবণ্য, সুরক্ষা বা জয়। যে মানুষের মধ্যে সৌন্দর্য ও প্রাণোচ্ছ্বলতা দুইই থাকে, তাকেও লারা চলে। অন্যদিকে, ভিন্ন সংস্কৃতিতে এর ভিন্ন অর্থ রয়েছে। লাতিনে বাড়ি ও জমি রক্ষক দেবতার নাম লারা। লারা নামের গ্রিক অর্থ দেবদূত। রাশিয়ায় লারিসা নামের ছোট সংযোজন ‘লারা’। এই নামের অর্থ আনন্দিত।

Continues below advertisement