নয়াদিল্লি: প্রয়াত প্রবীণ অভিনেত্রী সুলোচনা লতকর (Sulochana Latkar passed away)। বয়স হয়েছিল ৯৪। ৪ জুন, রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর মেলে। প্রখ্যাত মরাঠি (Marathi) ও হিন্দি (Hindi) অভিনেত্রী ৪০-এর দশকে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন এবং প্রায় ২৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। 


প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সুলোচনা লতকর


ফোনে এবিপি নিউজকে সুলোচনা লতকরের প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করেন তাঁর মেয়ে কাঞ্চন ঘনেকর। আজ বিকেল ৫টায় শিবাজি পার্ক শ্মশানঘাটে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। 


অভিনেত্রীর প্রয়াণে বিনোদন দুনিয়ায় শোকের ছায়া। শোকবার্তা একাধিক অভিনেতা ও অভিনেত্রীর। বিভিন্ন ছবিতে একাধিক অভিনেতার মায়ের চরিত্রে দেখা যেত তাঁকে। 


অভিনেতা ঋতেশ দেশমুখ শোকবার্তা প্রকাশ করে ট্যুইট করেন, 'সুলোচনা দিদির মৃত্যুসংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। মরাঠি এবং হিন্দি সিনেমায় দর্শকদের হৃদয়ে রাজত্ব করা এই মহান অভিনেত্রীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।'


 






মাধুরী দীক্ষিত লেখেন, 'সুলোচনা তাই সিনেমার সবচেয়ে প্রিয় এবং লাবণ্যময় অভিনেত্রীদের অন্যতম ছিলেন। ওঁর অভিনীত আমার সবচেয়ে প্রিয় ছবি সবসময় সঙ্গাতে আইকা। প্রত্যেক ছবিতে ওঁর অভিনয় মনে রাখার মতো। আমাদের কথোপকথন আমি মিস করব। শান্তিতে থেকো। ভারতীয় সিনেমায় তোমার অবদান সর্বদা মনে রাখা হবে।'


 






প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, 'ভারতীয় সিনেমার দুনিয়ায় সুলোচনা জির মৃত্যু বড় ফাঁকা জায়গা তৈরি করল। তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয় আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের কাছে তাঁকে প্রিয় করে তুলেছে। তাঁর চলচ্চিত্রের উত্তরাধিকার তাঁর কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবে। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা। ওম শান্তি।'


 






এদিন শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন পরিচালক মধুর ভণ্ডারকর, অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী প্রমুখও। 


 










মুম্বইয়ের সুশ্রুষা হাসপাতালে ৯৪ বছর বয়সী অভিনেত্রীর চিকিৎসা চলছিল। শনিবার, তাঁর অবস্থার অবনতি হয় এবং গতকাল তাঁকে ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর আগে অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন অভিনেত্রী। 


আরও পড়ুন: Carbon Footprint: পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে দৈনন্দিন জীবনে 'কার্বন ফুটপ্রিন্ট' কীভাবে কমাবেন?


১৯৪০-এ সুলোচনা মরাঠি ছবিতে অভিনয় দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। একাধিক সফল মরাঠি ছবিতে অভিনয় করার পর তাঁকে অজস্র হিন্দি ছবিতেও দেখা যায়। একাধিক প্রথম সারির অভিনেতা যেমন মনোজ কুমার, দেব আনন্দ ও মেহমুদের মায়ের চরিত্রে দেখা যায়। একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ছবি যেমন 'হীরা', 'জানি দুশমন', 'কটি পতঙ্গ', 'মেরে জীবন সাথী' প্রভৃতিতে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে 'পদ্মশ্রী' সম্মানে ভূষিত হন তিনি। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে, নাম কাঞ্চন ঘনেকর।