Carbon Footprint: আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day)। প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই পরিবেশ দিবস। পরিবেশবিদরা সবসময়েই বলে থাকেন আমাদের অর্থাৎ মনুষ্য জাতির উচিত পৃথিবীর বুকে যতটা কম সম্ভব কার্বন ফুটপ্রিন্ট (Carbon Footprint) রাখা। এই কার্বন ফুটপ্রিন্ট হল আসলে ধরিত্রীর বুকে মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নির্গত হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ। পরিবেশ সুস্থ রাখতে হলে অবিলম্বে মানুষের উচিত কার্বন জাতীয় যাবতীয় নির্গমনের পরিমাণ কমানো। 


কীভাবে পৃথিবীর বুকে 'কার্বন ফুটপ্রিন্ট' কমানো সম্ভব


প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই আমরা একটু একটু করে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে পারব। অন্তত এটুকু চেষ্টা আমাদের সকলেরই করা উচিত। কারণ তার ফলে সুস্থ থাকবে আমাদেরই বসবাসের জায়গা, এই পৃথিবী। দৈনন্দিন জীবনে কী কী করতে পারি আমরা, চলুন দেখে নেওয়া যাক। মূলত প্রতিদিনের জীবনে এমন জিনিসপত্র ব্যবহার করুন যা রিসাইকেল যোগ্য। অর্থাৎ এমন জিনিস যা একবার ব্যবহারের পরেও তা রিসাইকেল করে ফের ব্যবহার করা যাবে। 


এনার্জি সঞ্চয় বা বাঁচানো- অনেকেরই স্বভাব থাকে, পাখা এবং আলো না নেভানোর। যখন ঘরে থাকবেন না সেই সময় অবশই আলো এবং পাখা বন্ধ রাখুন। এর ফলে বিদ্যুৎশক্তির সাশ্রয় হবে। বিদ্যুৎ অর্থাৎ ইলেকট্রিক এবং তাপশক্তির উৎপাদন হয় কয়লা, খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে। এগুলি সবই কার্বনজাত দ্রব্য। তাই এদের ব্যবহার যত কম হবে কার্বন এমিশন বা নির্গমন ততই কম হবে। ফলে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে। সাধারণ আলোর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এলইডি লাইট। অন্যান্য আলোর তুলনায় এলইডি আলোতে বিদ্যুৎ শক্তি কম খরচ হয়। অর্থাৎ শক্তির সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমবে।


গণ পরিবহণ মাধ্যমের ব্যবহার- আপনার গাড়ি থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে সর্বত্র গাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি শরীর-স্বাস্থ্যের দিক থেকে সম্ভব হয় তাহলে অল্প দূরত্বে হেঁটে যান। ব্যবহার করতে পারেন সাইকেল। অন্যথায় বাস, অটো, রিকশা, টোটোতে চড়তে পারেন। অল্প দূরত্বের গন্তব্যের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যায়। এর ফলে রাস্তাঘাটে কিছুটা হলেও গাড়ির সংখ্যা কমবে এবং কার্বন ফুটপ্রিন্টও কমবে। 


ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার- পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যানবাহনে পরিবর্তে সম্ভব হলে ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহার করুন। ব্যাটারি চালিত এইসব গাড়ি শুধুমাত্র চার্জ দিলেই চলবে। ফলে কার্বন নির্গমনের কোনও ব্যাপার নেই। পরিবেশ থাকবে সুরক্ষিত। 


আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করবেন ভাবছেন? নজরে থাকুক এই সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি