গলি বয় সিনেমার প্রোমোশনে রণবীর ও আলিয়া বলেছিলেন যে, তাঁদের কোনও রাজনৈতিক মতামত বা আদর্শ নেই। এই মন্তব্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তাঁরা।
গত রবিবার কঙ্গনা তাঁদের ওই মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর রাজনীতিতে যোগদানের সঙ্গে কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে চারপাশে ঘটতে থাকা ঘটনাবলী নিয়ে অভিনেতাদেরও সরব হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মণিকর্নিকা দ্য কুইন অফ ঝাঁসি-র সাকসেস পার্টিতে সাংবাদিকদের কঙ্গনা বলেন, ‘’আমি রণবীর ও আলিয়া সাক্ষাতকার শুনছিলাম। সেখানে ওরা বলেছে, ‘আমরা রাজনীতি নিয়ে কেন বলব? আমরা কিছু করিনি’। কিন্তু এরকম হলে চলবে না। তোমাদের দায়িত্বপূর্ণ হতে হবে। রণবীর কাউকে বলছিল , ‘আমার বাড়িতে বিদ্যুত্ ও জল আসে। তাই রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাবো কেন?’ তোমার এই বাড়ি রয়েছে এই দেশের জন্য। নাগরিকদের অর্থ থেকে তোমার মার্সিডিজ কেনার আয় হয়। তাহলে কীভাবে এমন সব কথা বলা যায়? এটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’’।
কঙ্গনা আরও বলেছেন, কোনও সিনেমায় অভিনয় করলেই অভিনেতার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
কঙ্গনা বলেছেন, তিনি বুঝতে পারেন না যে, এই সব লোকেদের কাছে কেন কেরিয়ারটাই এত গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশের ব্যাপার নিয়ে তাঁরা মাথা একেবারেই ঘামাতে রাজি নন।
এনডোর্সমেন্ট হারানোর কথা চিন্তা করে এভাবে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকাটা বোকামি বলেও মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা।
গত মাসেও আলিয়া, আমির সহ বলিউডের বেশ কয়েকজনকে একহাত নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বলিউডের এই তারকারা তাঁর মণিকর্নিকা সিনেমার মুক্তির সময় তাঁকে সমর্থন করেননি। অথচ তিনি দঙ্গল, সিক্রেট সুপারস্টার-এর মতো সিনেমার স্ক্রিনিংয়ে এসেছিলেন।
এরপর আলিয়া বলেছিলেন, কঙ্গনা যদি হতাশ হয়ে থাকেন, তাহলে ব্যক্তিগত স্তরে কথা বলে কঙ্গনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন।