কলকাতা: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। রোজই করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ভেঙে দিচ্ছে রেকর্ড। তার মধ্য়েই অবাধে চলছে রাজনৈতিক জমায়েত, প্রচার। বিভিন্ন দলের রোড শো তে উপচে পড়া ভিড়, শিকেয় স্বাস্থ্যবিধি। করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে গতকালই প্রচারে রাশ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, সন্ধে ৭টা থেকে শুরু করে সকাল ১০ পর্যন্ত প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। বাকি সব দফায় ৭২ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে রাজনৈতিক প্রচার। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ট্যুইটারে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। 


করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে হবে বাকি দফার নির্বাচন? চিন্তার ভাঁজ সমস্ত রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের আধিকারীকদের কপালে। গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। যেমন-


- সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল।


- কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রত্যেকের আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে


- গতবছর করোনা পরিস্থিতি যখন খুবই ভয়াবহ হয়ে ওঠে, তখন সরকারি হাসপাতালের  পরিকাঠামো বাড়ানো হয়। এবার তার থেকেও ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বাড়ানো হবে বলে রাজ্যের সিদ্ধান্ত। বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো ২৫ শতাংশ বাড়ানো হবে। 


- পুলিশ হাসপাতালগুলির একাংশ সেফ হোম হিসেবে ব্যবহার করা হবে। 


- হোম আইসোলেশনে চিকিতসার ব্যবস্থা হবে অডিও ভিস্যুয়ালের মাধ্যমে। 


- সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। 


নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা। নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশিকা ট্যুইট করে স্বস্তিকা লিখেছেন, 'সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক প্রচার হয়? মানুষকে বোকা বানানোর একটা লিমিট থাকে।' স্বস্তিকার এই ট্যুইটে লাইক করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। একদিকে যেমন টলিউডের বহু অভিনেতা অভিনেত্রী যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে। অনেকেই নির্বাচনে লড়ছেন। তেমনই অন্যদিকে টলিউডের বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীরা রাজনীতির বাইরে রয়েছেন। সম্প্রতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, অনুপম রায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের 'নিজেদের মতে নিজেদের গান' জনপ্রিয়তা পেয়েছে।