মুম্বই: মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের শাস্তিস্বরূপ যখন তাঁর ঠিকানা হয় পুনের ইয়েরওয়াড়া জেল, তখন পরিবারের কেমন কেটেছিল? বাবার অনুপস্থিতিতে কেমন ছিল ছোট ছোট বাচ্চাদুটো? জানালেন সঞ্জয় দত্ত নিজেই।

এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেছেন, তাঁর দুই ছেলেমেয়ে ইকরা ও শাহরান মা মান্যতাকে বলত, বাবাকে ফোন করতে। মান্যতা বাধ্য হয়ে মিথ্যে বলতেন, যে বাবা পাহাড়ে শ্যুটিংয়ে গিয়েছে, সেখানে ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। তবে সৌভাগ্যক্রমে তাঁকে ১৫ দিনে একবার ফোন করার সুযোগ দিত জেল কর্তৃপক্ষ, সেদিন তিনি ফোনে বাড়িতে কথা বলতেন।

এখন কি সত্যিটা জানে শাহরান আর ইকরা? সঞ্জয় জানিয়েছেন, তিনি তাদের সব কথা বলেছেন, তবে তাদের বড় হওয়ার অপেক্ষা করছেন এখন। তখন ছেলেমেয়েকে বিশদে বোঝাতে পারবেন নিজের কথা।

সামনের সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে ভূমি। জেল থেকে বার হওয়ার পর তাঁর প্রথম ছবি। অদিতি রাও হায়দারি এই ছবিতে তাঁর নায়িকা নন, মেয়ে। সঞ্জয় বলেছেন, বয়সে অনেক ছোট মেয়েদের সঙ্গে রোমান্স করতে আর ভাল লাগে না তাঁর। বরং হলিউড যেমন ছবি বানায়, সে ধরনের ছবিতে কাজ করতে চান তিনি। ভবিষ্যতে পরিচালনা করারও ইচ্ছে আছে।

বলিউডে সফল বাবা মায়ের সন্তান হলে আলাদা সুবিধে থাকে, তিনি মানছেন। কিন্তু সেটা ওই প্রথম ছবিতেই। তাতেই দেখাতে হবে, আপনার মধ্যে আগুন আছে কিনা। তা না হলে আস্তে আস্তে সরে যেতে হবে।

রাজনীতিতে আর আসতে চান না সঞ্জয়। তবে দেশের প্রতি তাঁর ভালবাসা অসীম। জেল থেকে বেরিয়ে প্রথমে মাটি ছুঁয়েছিলেন আর সেলাম করেছিলেন তেরঙা পতাকাকে। জানাচ্ছেন তিনি।