কলকাতা: তাঁদের প্রেমের জল্পনায় এখনও সিলমোহর দেননি পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা। তবে এই ডুয়োর লাভস্টোরি এখন সবার মুখে মুখে। আর এবার প্রকাশ্য়ে এল নতুন তথ্য়। শোনাযাচ্ছে, এবার এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কোন রাজনীতিবিদকে করতে চান না। অন্য় যে কোনও পেশার লোককে তিনি বিয়ে করতে পারেন, কিন্তু রাজনীতির লোককে নয়। আর এই খবর প্রকাশ্য়ে আসার পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। 


সম্প্রতি মুম্বইতে পাপারাৎজিদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিণীতি। প্রথম প্রশ্নই আসে রাঘবকে নিয়ে। সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে স্মিত হাসি খেলে যায় পরিণীতি মুখে। তাতে যে ঠিক কী ছিল.. সম্মতি, লজ্জা নাকি দুইই তা কেবল জানেন পরিণীতিই। তবে এই মৌনতাকেই সম্মতি বলে ধরে নিয়েছেন অনুরাগীরা। শেষে গাড়িতে ওঠার আগে পরিণীতি বলেন.. 'হুমম... থ্যাঙ্ক ইউ... বাই..'। এই শব্দগুলি বলার মধ্যে তাঁর হাসিতে যেন খেলে গেল দুষ্টুমি। তবে.. তাঁর ছবির কথা ধরেই বলতে হয়.. 'হাসি তো ফাঁসি'।


আরও খবর...


কেমন জীবন সঙ্গী চান সারা? শেহনাজকে জানালেন অভিনেত্রী


তাঁদের প্রেমের এই জল্পনা  উস্কে দেয় আরও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ট্যুইট। সম্প্রতি সঞ্জীব অরোরা রাঘব ও পরিণীতির ছবি একসঙ্গে ট্যুইট করে লেখেন, 'রাঘব ও পরিণীতিকে অনেক শুভেচ্ছা। ওদের মিলন যেন প্রেমের প্রাচুর্য্যে, আনন্দে ও একে অপরের সঙ্গতে ভরে ওঠে। আমার শুভেচ্ছা।' এই ট্যুইটটি কয়েক গুণ জল্পনা বাড়িয়েছে তাঁদের সম্পর্কের। শোনা যাচ্ছে, স্বরা ভাস্বরের পরে খুব তাড়াতাড়িই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন আরও এক রাজনীতি ও বিনোদন দুনিয়ার মানুষ।


অন্য়দিকে, শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই নিজেদের সম্পর্ককে পরের ধাপে নিয়ে যেতে চলেছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চড্ডা। তাঁদের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে নাকি খুব শীঘ্রই একটি ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছেন তাঁরা। দুই পরিবারই নাকি তাঁদের সম্পর্কের ব্যাপারে জানেন। দুই পরিবারের উদ্যোগেই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে খবর। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, 'পরিণীতি ও রাঘব একসঙ্গে ডিনারে যান দুই পরিবার তাঁদের বিয়ের কথা বলতে শুরু করার পর। তাঁরা একে অপরকে আগে থেকেই চিনতেন, পছন্দ করতেন এবং তাঁদের কমন ইন্টারেস্টও আছে প্রচুর, ফলে সবকিছুই ভালভাবে মিলে যায়। অনেকদিন ধরেই দুই পরিবারও একে অপরকে চেনে।'


সূত্র মারফত আরও খবর, এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক উৎসব হয়নি তবে দুই পরিবারই এই বিষয়ে কথা বলছেন। ওঁদের দুজনের একসঙ্গে হওয়ায় পরিবারের সকলেই খুশি। কিন্তু দুজনেই নিজেদের কাজে এতই ব্যস্ত যে তারিখ ঠিক করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আপাতত খবর, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে খুব ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।