কলকাতা: সেফ আলি খান (Saif Ali Khan)-এর বাড়িতে তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। গোটা ঘটনাটাই কার্যত রহস্যাবৃত। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন সেফ আলি খান। এদিন সবার অলক্ষ্যে তার বাড়িতে ঢুকে আসে এক আততায়ী। সঙ্গে অস্ত্র ছিল ওই আততায়ীর। ছোট ছেলের জেহ-র ন্যানির থেকে জানা যাচ্ছে, জেহ যে শৌচাগার ব্যবহার করে, সেখানেই লুকিয়ে ছিল আততায়ী। মাঝরাত্রে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় জেহ-র ন্যানির। সেই সময়ে সে দেখতে পায়, নিঃশব্দে একজন জেহ-র খাটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময়েই চিৎকার করে ওঠেন জেহ-র ন্যানি। আততায়ী আঘাত করতে যায় তাঁকে। চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন সেফ নিজেই। এরপরে ওই আততায়ী হামলা করে সেফের ওপর। ঘাড়ে, পিঠে ও হাতে গভীর আঘাত লাগে তাঁর। 


এই হামলার ঘটনায় রয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। যেমন, ওই আততায়ীর বেরিয়ে যাওয়ার ফুটেজ দেখা গেলেও বাড়িতে ঢোকার কোনও ফুটেজ দেখা গেল না কেন? কীভাবে বান্দ্রার মতো হাই সিকিওরিটি জোনে, সিসিটিভি এড়িয়ে ওই বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে একেবারে সেফের বাড়ির ভিতর পৌঁছে গেল আততায়ী। সে কী বাড়ির নকশা জানত? জানত যে জেহ কোন ঘরে রয়েছে? সেই কারণেই একেবারে সে পৌঁছে যেতে বেরিয়েছিল জেহ-র শৌচাগারে?


মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকাকে বলা হয় মুম্বইয়ে অন্যতম নিরাপদ জায়গা। সেখানে সবসময়েই থাকে হাই সিরিওরিটি। এত নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও একজন আততায়ী কীভাবে অস্ত্র-সমেত ঢুকে গেল সেফের বাড়িতে? একজন নিরাপত্তারক্ষীরও কেন চোখে পড়ল না আততায়ীকে। কোন সিঁড়ি দিয়ে আগুন লাগলে বেরনো যায়, সেটা কীভাবে জানল ওই আততায়ী? তার মানে তার কাছে কী বাড়ির নকশা স্পষ্ট ছিল? নাকি তাকে ছবির মতো করে বুঝিয়ে দিয়েছিল সবকিছু? 


এলিয়ামা ফিলিপ নামে জেহ-র ন্যানি পুলিশকে জানিয়েছেন, আততায়ীর বাড়িতে জোর করে ঢোকার কোনও চিহ্ন ছিল না। আততায়ী জেহ-র শৌচাগারে লুকিয়ে ছিল। তাহলে কী আততায়ীর লক্ষ্য ছিলেন সেফ নয়, জেহ? কেবল মাত্র ডাকাতি করার জন্যই কী ঘরে ঢুকেছিল ওই আততায়ী নাকি ছিল লরেন্স বিষ্ণোই যোগ? এই প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Saif Ali Khan: 'এক কোটি টাকা চেয়েছিল আততায়ী, জেহর বিছানার দিকে এগোতেই..', কী জানাচ্ছেন সেফের বাড়ির ন্যানি