নারী দিবস বিশেষ: বলিউডের সুপার উইমেন ও তাঁদের সুপারহিট ফিল্ম
‘পাণ্ডে’ ছবি এমন এক ইস্যুতে তৈরি যা, আমাদের সমাজের চোখে থাকা কালো পর্দা ওঠাতে সাহায্য করে। এমনিতে আমরা যথেষ্ট আধুনিক হয়েছি। আমরা মুখে বলাবলি করি যে, নারী ক্ষমতায়ণ হচ্ছে। কিন্তু, দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহিলাদের কি স্থিতি, তা এই ছবিতে দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া অশ্বিনী আয়ার তিওয়ারী পরিচালিত ‘নীল বটে সান্নাটা’ সবার মন জয় করেছে। ছবির প্রেক্ষাপট এক সিঙ্গল মা ও তাঁর মেয়েকে ঘিরে। সেখানে মেয়ে অঙ্ক থেকে পালিয়ে বেড়ায়। তাই মেয়েকে পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝাতে এবং উদ্দীপ্ত করতে মেয়ের স্কুলেই ভর্তি হন মা। ছবিতে স্বরা ভাস্করের অভিনয় দারুণ প্রশংসীত হয়।
২০১৫ সালে মুক্তি পায় পরিচালক পান নলিনীর ছবি ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান গডেস’। সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে বর্তমান যুগের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে তার সমাধান করেন আধুনিক মহিলা। ছবির প্রেক্ষাপট পাঁচ বন্ধুকে ঘিরে, যাঁরা সকলেই মহিলা।
সুজয় ঘোষ পরিচালিত ছবি ‘কাহানি’ ২০১২ সালে মুক্তি পায়। এই ছবি এমন এক দৃঢ় মহিলাকে ঘিরে, যিনি শুধুমাত্র সাহসিকতা ও বুদ্ধির জোরে কেবলমাত্র স্বামীর হত্যার বদলা নেন তাই নয়, সিস্টেমে ছড়িয়ে থাকা নোংরা সাফ করে স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজও সম্পন্ন করেন। ছবিতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন বিদ্যা বালন। তিনি ভীষণই প্রশংসীত হন।
২০১২ সালে শ্রীদেবী অভিনীত ছবি ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ দারুন প্রশংসীত হয়েছিল। এই ছবি এমন এক মহিলাকে ঘিরে, যিনি তাঁর আধুনিক সন্তানদের থেকে পিছিয়ে পড়েন। তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইংরেজি ভাষা। তিনি কীভাবে সেই বাধা অতিক্রম করলেন, এই ছবিতে তাই তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৭ সালে মুক্তি পায় সদ্যপ্রয়াত শ্রীদেবী অভিনীত ছবি ‘মম’। গল্পটি এমন এক মহিলার, যিনি নিজের হাতে বদলা নেন। আমাদের আইনে এমন কিছু ফাঁকফোঁকর রয়েছে, যার জন্য অনেক অপরাধী পার পেয়ে যায়। শ্রীদেবীর সৎ মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনাই ঘটে। মেয়ের ধর্ষককে রেহাই দেয় আদালত। এরপরই, মেয়ের জন্য বিচার আদায় করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিমানসেবিকা নীরজা ভানোটের জীবন অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘নীরজা’। ছবিতে নীরজার চরিত্রে অভিনয় করেন সোনম কপূর। এর জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। ছবিতে দেখানো হয়েছে মহিলারৃদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সেই শক্তিকে, যাকে অনেক ক্ষেত্রে তাঁরাই চিনতে পারেন না। এই ছবির জন্য দারুণ প্রশংসীত হন পরিচালক রাম মাধবানী।
বিকাশ বহলের ছবি ‘কুইন’-ও নারী-কেন্দ্রিক। ছবিটির কাহিনী এমন এক মেয়েকে ঘিরে তৈরি যাঁর ঘরোয়া স্বভাবই তাঁর অভিশাপে পরিণত হয়। তাঁর হবু বর বিয়ের আগের দিন সম্পর্ক ভেঙে দেন। নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে, মেয়েটি একাই বেরিয়ে পড়ে হনিমুন ট্যুরে। ছবিতে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রানাউত এবং রাজকুমার রাও।
২০১৪ সালে ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত ছবি ‘হাইওয়ে’ এমন একটি ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে, যা আমরা আলোচনা করতেও পিছপা হই। শিশুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে তৈরি হওয়া এই ছবিতে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। শিশুরা এই অত্যাচার বোঝে না। কিন্তু, তাদের আশেপাশের মানুষরাই শিশুদের সরলতার ফায়দা তোলে। সমাজের এই কালো দিকটিকে দারুন ফুটিয়ে তুলেছেন ইমতিয়াজ আলি। ছবিতে প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে আলিয়া ভট্টকে। তাঁর অভিনয় দারুন প্রশংসীত হয়। এছাড়া ছবিতে ছিলেন রণদীপ হুডা।
সুজিত সরকারের ছবি ‘পিঙ্ক’-কে বর্তমান যুগের প্রেক্ষিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি বলা-ই যেতে পারে। ছবিতে মহিলা ও পুরুষের সেই রূপকে দেখানো হয়েছে, যা আধুনিক প্রজন্ম মানে না। আজও, মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ঘটলে তাঁদেরকেই উল্টো দোষারোপ করা হয়। ছবিতে সুজিত এই প্রশ্নটি তোলেন যে-- শেষ পর্যন্ত মহিলাদের না-এর মানে না-ই হয়। এই শব্দের আর কোনও মানে দাঁড়ায় না। আজ বাড়ির মেয়েদের নয়, ছেলেদের শেখানো উচিত, কীভাবে মহিলাদের সম্মান করতে হয়। ছবিতে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন ও তাপসী পান্নু।
আজ নারী দিবস। এই উপলক্ষ্যে সকলেই মহিলাদের বিশেষ করে দেখাতে চান। আর এই বিশেষ দিনে বলিউড কীকরে পিছিয়ে থাকতে পারে? কথায় বলে, ফিল্ম হল সমাজের দর্পণ। তাই আজ এখানে এমন কিছু বাছাই করা ছবির কথা উল্লেখ করা হল, যা নারী ক্ষমতায়নের কথা বলে থাকে এবং তা সমর্থন করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -