নয়াদিল্লি: সম্প্রতি বলি অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম একটি হরর-কমেডি ছবির শ্যুটিং সারছেন তাঁর নিজের জন্মস্থল হিমাচল প্রদেশে । এই ফাঁকে নিজের পছন্দের জায়গাটাকে খুব ভাল করে এক্সপ্লোর করেছেন নায়িকা।


প্রথমত ইয়ামি গৌতম হিমাচল প্রদেশে জন্মেছেন, তার ওপর তাঁর পাহাড়-প্রেম প্রায় সকলের জানা। হিমাচল প্রদেশে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন এই শ্যুটিংয়ের পর তাঁর পার্বত্য এলাকার সঙ্গে আরও বেশি করে একাত্ম বোধ করলেন। 


অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমরা খুব খারাপ আবহাওয়া শ্যুটিং করছিলাম কারণ ওখানে প্রবল ঠান্ডা পড়ে। প্রচুর পরিমাণে আউটডোর সিক্যুয়েন্স ছিল এবং আলো ও আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আমাদের একেক দিনে অনেকটা করে কাজ সেরে ফেলতে হত, প্রত্যেক দিন। কিন্তু আমি লড়াই লড়তে তৈরি ছিলাম কারণ আমি যখনই হিমাচলে থাকি, আমি একটা একাত্ম বোধ অনুভব করি। যখনই আমি সূর্যোদয় দেখি, ওই বরফে ঢাকা পর্বতগুলো দেখি এবং অনুভব করি যে আমি এই হিমাচলে জন্মেছি...এটাই আমার জন্মস্থল, আমার গায়ে কাঁটা দেয়।'


অভিনেত্রীর মতে, যদি ঈশ্বরের অস্তিত্ব থেকে থাকে তাহলে তিনি হিমাচলের শান্ত, পার্বত্য, বরফে ঢাকা এলাকায় থাকেন। তিনি মনে করেন এখানে প্রকৃতি মায়ের সবচেয়ে কাছে আসা যায়। 'প্রত্যেকদিন শ্যুটিং শেষ করে যখন আমি গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে দেখতাম, প্রচণ্ড ক্লান্ত থাকা সত্ত্বেও এবং মাত্র কয়েক ঘণ্টা ঘুমের আছে জানা সত্ত্বেও...আমি যখন ওই পর্বতগুলোর দিকে তাকাতাম, তখন শ্যুট থেকে সোজা হোটেলে গাড়ি ফিরলেও ওইটুকু সময়ে আমি রিচার্জ অনুভব করতাম।'


তাঁর হরর কমেডি ছবিটির শ্যুটিং গতবছর আনলক প্রক্রিয়া শুরুর সময়ে করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি করোনা বিধিনিষেধ মেনেই শ্যুটিং করা হয়। ছবির গোটা টিমকে বায়ো-বাবলে থাকতে হয় সেই সময়। সেই কারণে কাজের মধ্যেই নিজের জন্মদিন ও দীপাবলি উদযাপন করেন অভিনেত্রী। বাড়ি যেতে না পারলেও ছবির টিমের সঙ্গেই দীপাবলি কাটানোর সুযোগ পেয়ে তিনি খুশি হয়েছিলেন বলেও জানান। সেই সময় ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি খাবার 'পাহাড়ি ধাম' বানিয়েছিলেন তিনি, যা দীপাবলির সময়ে সকলে মিলে খান। 


'ভিকি ডোনর' খ্যাত অভিনেত্রী এও জানান, 'আমি হিমাচলে জন্মেছি এবং চণ্ডীগড়ে বড় হয়েছি। কিন্তু সবসময়েই আমার হিমাচলে যাতায়াত ছিল কারণ সেখানে আমার পরিজনেরাও থাকেন। এইবার, গোটা সিনেমার শ্যুটিংয়ের সময়ে কোথাও গিয়ে একটা আমি নতুন করে হিমাচলের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ খুঁজে পেলাম এবং আমি 'হিমাচলি' হিসাবে, একজন 'পাহাড়ি' হিসাবে, খুব গর্বিত। আমি যদি বলি আমি পর্বতের মানুষ, তাহলে আমি একটুও বাড়িয়ে বলব না।'